আ স ম আবদুর রব বাংলাদেশের একজন রাজনীতিবীদ এবং সেই সাথে তিনি বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের সম্মানীয় সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। আ স ম আবদুর রব বাংলাদেশের হয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেছেন যা এখনো বাংলার মাটিতে স্বরণ হয়ে আছে। সম্প্রতি তিনি তার এক বক্তব্যে বলেছেন
জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেন, “আজ দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব মারাত্মক হুমকির মুখে। সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য দেশবাসীকে হ/তবাক করেছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর গভীর ও দীর্ঘমেয়াদি ব্লু প্রিন্ট প্রকাশ করায় জাতি শঙ্কিত। সশস্ত্র মুক্তি সংগ্রাম ও রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা বিক্রি করে ক্ষমতার চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম নগরীর জেএম সেন হলে জন্মাষ্টমী উৎসবের অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন বলেন, ভারতে গিয়ে বলেছি- শেখ হাসিনার সরকার টিকিয়ে রাখতে হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে আজ (শুক্রবার) ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে আবদুর রব এসব কথা বলেন।
জাসদ সভাপতি বলেন, “পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভারতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারকে টিকিয়ে রাখতে ভারত সরকারকে যা যা করা দরকার তা করার অনুরোধ করেছেন। এটি রাষ্ট্রীয় মর্যাদার অন্তর্ভুক্ত। কারণ বাংলাদেশ একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র, নয়। অন্য কোন রাষ্ট্রের একটি অংশ, বা কারও মক্কেল রাষ্ট্র। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ক্ষমতায় থাকবে কি থাকবে না তা দেশের জনগণের ইচ্ছার উপর নির্ভর করে, অন্য কোন রাষ্ট্রের উপর নয়। এই ভিত্তি ইচ্ছা অব্যাহত থাকবে। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ক্ষমতা একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের স্বার্থ ও মর্যাদার পরিপন্থী।
তিনি বলেন, “রাষ্ট্রের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার সাংবিধানিক শপথ ভঙ্গ করেছেন এবং তিনি মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনের অযোগ্য হয়ে পড়েছেন।”
জাসদ সভাপতি বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রীও বলেছেন- কয়েকদিন আগে ভারতের এক ভদ্রমহিলা কিছু বলেছেন, আমরা সরকারের পক্ষ থেকে একটি কথাও বলিনি। বিভিন্ন দেশ কথা বলেছে, আমরা বলিনি। আমরা আপনাকে এই ধরনের সুরক্ষা দিচ্ছি। উল্লেখ্য, বিশ্বব্যাপী সাড়া জাগলেও এ বিষয়ে বাংলাদেশের শাসকদের নীরবতা আমাদের জাতির জন্য লজ্জাজনক। ‘
তিনি বলেন, ‘পররাষ্ট্রমন্ত্রীও বলেছেন- শেখ হাসিনা আছেন বলেই ভারত ভালো করছে। সীমান্তে অতিরিক্ত খরচ করতে হবে না। আমাদের দেশে লক্ষ লক্ষ ভারতীয় কাজ করে। জাতীয় স্বার্থের মূল্যে অন্য দেশের স্বার্থকে প্রাধান্য দেওয়া বাংলাদেশ সরকারের দায়িত্ব হতে পারে না। ভোটহীন নির্বাচনে রাতের অন্ধকারে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী সরকারের পক্ষেই এটা সম্ভব। জনগণের সমর্থন ও সম্মতি ছাড়াই আবারও রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের সরকারের চক্রান্তের নীলনকশা উন্মোচিত হয়েছে।
জেএসডি সভাপতি আবদুর রব আরও বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী দাবি করেন- আমি শিক্ষক, আমি সত্য কথা বলি। তাই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য সরকারের অবস্থানেরই প্রতিফলন। সরকারের এই অবস্থানের কারণে অবিলম্বে সরকারের পদত্যাগ করা উচিত। অন্যথায় সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করতে গণজাগরণ অনিবার্য।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর একটি কথা দেশজুড়ে প্রচুর আলোচনা ও সমালোচানর সৃষ্টি করেছে। তার কথাটিকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা নানা রকম মন্তব্য করছেন। তবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন তিনি কোনো ভুল মন্তব্য করেননি।