ডাঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরী হলেন বাংলাদেশের গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা এবং এছাড়াও তিনি একাধারে একজন শিক্ষাবীদ, রাজনীতিবীদ এবং সাহসী মুক্তিযোদ্ধা। একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে তিনি দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মকান্ডে উপস্থিত থেকে তার মূল্যবান বক্তব্য প্রধান করেন। সম্প্রতি ডাঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরী তার এক বক্তব্যে বলেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের জন্য তাকে ডেপুটি প্রাইম মিনিস্টার করা উচিত।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, “আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনা সরকার ভারতে এসে মোদি সরকারকে আবার ক্ষমতায় আসার অনুরোধ করেছিল, সেই অনুরোধের জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে পুরস্কৃত করে উপপ্রধানমন্ত্রী করা উচিত।” আমি তার বিচার চাই না। কারণ গত নির্বাচনে তিনি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় আসেননি। তাই তিনি সত্য বলেছেন।
ডাঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরী মনে করেন, শেখ হাসিনার সরকার পতন হলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছাড়া কেউ তার পাশে দাঁড়াবে না। শনিবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘মেয়ের ডাক’ সংগঠন আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন ড. জাফরুল্লাহ তিনি আরও বলেন, ‘মায়ের ডাকে নিখোঁজ পরিবারের সকল আন্দোলনের পাশে আছি এবং থাকব। আপনারা আন্দোলন চালিয়ে যান বিজয় আপনাদেরই হবে। মায়ের ডাকে সদস্যদের কান্না আর কান্নায় ক্লান্ত হয়ে যাবে সরকার।
সঞ্জিতা ইসলাম তুলির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন মা ডাকের সংগঠক মঞ্জুর হোসেন ঈসা, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাইফুল হক, গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব ভিপি নুরুল হক নূর, সাজেদুল ইসলাম সুমনের মেয়ে রায়েসা ইসলাম ও ইকবাল হোসেন বাতেনের স্ত্রী স্মৃতি আক্তারসহ আরও অনেকে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য সৃষ্টি করেছে বিভিন্ন ধরণের সমালোচনার। ড. জাফারুল্লাহ চৌধুরী সেই বক্তব্যকে কেন্দ্র করে বলেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ডেপুটি কমিশনার বানানো উচিত তার মতে। তবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী কেনো এই কথা বলেছিলেন তার ব্যাখ্যাও তিনি দিয়েছেন।