সম্প্রতি বাংলাদেশে মেসিসহ পুরো আর্জেন্টিনা ফুটবল দলকে বাংলাদেশে আনার তারিখ ঘোষনা দিয়েছেন বাফুফের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। মেসিকে সহ তার পুরো দলকে আনতে বাংলাদেশের বিপুল পরিমান অর্থ খরচ হবে, যেটা বাংলাদেশের বর্তমান অর্থনৈতিক সংকটের জন্য একটি অবিবেচক সিদ্ধান্ত মনে করছেন বিশিষ্টজনেরা। এবার এ বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্ট দিয়েছেন লেখক সাংবাদিক আনিস আলমগীর। তার সেই পোস্টটি পাঠকদের জন্য হুবুহু তুলে ধরা হলো-
সালাউদ্দিনের মূর্তি চাই! ৫ সেপ্টেম্বর, ২০১১! মেসির বাংলাদেশের মাটিতে পা রাখার সেই চিরস্মরণীয় দিনটি লাখো-কোটি ফুটবলপ্রেমী ভুলে যাওয়ার আগেই তাকে নাকি আবার বাংলাদেশে আনা হচ্ছে আগামী জুনে, দলবল নিয়ে। খুশিতে আমার ঘুম হবে না।
খবরে দেখলাম, মেসিদের ঢাকায় এনে একটি প্রীতি ম্যাচ আয়োজন করতে সব মিলিয়ে শতকোটি টাকা খরচ হয়ে যেতে পারে। মেসিদের প্রতিপক্ষ কারা হবে, সম্মানি পাওয়ার সম্ভাবনা কেমন, খেলার মাঠ সংস্কার, নিরাপত্তা সবকিছু এর সঙ্গে জড়িত।
বাংলাদেশের ফুটবল ফিফা র্যাঙ্কিংয়ের তলানিতে থাকলেও এ দেশের ফুটবলপ্রেমীরা গর্ব করতে পারবেন—বিশ্বসেরা মেসি দুইবার খেলে গেছেন তাদের ঘরের আঙিনায়।
বাফুফে সভাপতি হয়ে গত পনেরো বছর ধরে সালাউদ্দিন ফুটবলের উন্নয়নে যা … ছিঁড়েছেন তার অবদান অপরিসীম। ডলার সংকটের সময় হলেও শত কোটি টাকা এমন কি খরচ! সালাউদ্দিন পদে বহাল থাকা অবস্থায় হাত দিয়ে গলা নাগাল পাওয়া যায় তার এমন সাইজের একটা ব্রোঞ্জ মূর্তি, ঢাকার জনাকীর্ণ কোনো মোড়ে স্থাপনের দাবি জানাচ্ছি, লোকজন সামনে না পেলেও তার মূর্তিকে যথাযথ সম্মান জানাতে পারবে।
এদিকে মেসিকে আনার বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা করেছেন ব্যারিষ্টার সুমন। বাংলাদেশ ফুটবল দল যে স্তরে পড়ে আছে সেই সময়ে শত কোটি টাকা খরচ করে মেসি ও তার টিমকে বাংলাদেশে আনা পুরোপুরি অযৌক্তিক বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে বাংলাদেশের বর্তমান ডলার সংকট পরিস্থিতিতে তাকে আনার চিন্তা বাদ দেওয়া উচিৎ বলে মনে করেন তিনি।