সোমবার (২৭ জুন) সকাল ৬টা থেকে পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সেতু বিভাগ। রোববার (২৬ জুন) রাতে তথ্য অধিদফতরের এক তথ্য বিবরণীতে এ তথ্য জানানো হয়। পুনঃনির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়েছে।এর আগে শনিবার (২৫ জুন) দুপুর ১২টায় পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সেতুতে মোটরসাইকেল ঢুকতে না দেওয়ার নির্দেশনা সত্ত্বেও কৌশলে পদ্মা সেতু পার হচ্ছেন মোটরসাইকেল চালকরা। এমনই আবদুর রহমান। তিনি টোল দিতে এসে ফিরে গেলেন। মোটরসাইকেল চালিয়ে যেতে পারেনি। পাশে গিয়ে পিকআপ ভাড়া নিন। ভাড়া ১৩০০ টাকা। এভাবেই সে তার গন্তব্যে পৌঁছে যায়। শুধু রহমান নয়, তাদের অনেকেই জাজিরা টোল প্লাজায় এসে বিব্রত হয়ে পড়েন। আবার কেউ জেনে এসেছিল। কেউ জানে না, তাদের ফিরে যেতে হয়েছিল। পদ্মা পাড়ি দিতে হয়েছে অন্য কোনো উপায়ে।
জাজিরার দায়িত্বে থাকা এসআই শাহ নেওয়াজ জানান, গতকাল জারি করা নির্দেশনা অনুযায়ী সোমবার সকাল থেকে মোটরসাইকেল সেতু পার হতে পারেনি। পুলিশসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কঠোর অবস্থানে রয়েছে। সেনাবাহিনী মাইকিং করে যাত্রীদের সতর্ক করছে। যাতে যাত্রীরা সেতুতে যানবাহন থামিয়ে ছবি ও ভিডিও না করে। জাজিরা প্রান্তে পদ্মা সেতুর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. আনোয়ার হোসেন জানান, যাত্রীদের সার্বিক নিরাপত্তার কথা ভেবে সেতু কর্তৃপক্ষ অনির্দিষ্টকালের জন্য মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ রেখেছে। রোববার ২৪ ঘণ্টায় ৫১ হাজার যানবাহন পদ্মা সেতু অতিক্রম করেছে। মোট সংগ্রহ ২ কোটি ৯ লাখ টাকা।
উল্লেখ্য, রোববার সকালে পদ্মা সেতুর দুই পাশ থেকে যানবাহন ছেড়ে দিলে মোটরসাইকেল চালকরা টোল নিয়ে সেতুর দিকে ছুটে আসেন। সারাদিন অসংখ্য মানুষ মোটরসাইকেলে সেতু পার হয়েছেন। বিকাল ৪টা থেকে জাজিরা পাশের নাওডোবা টোল প্লাজার সামনে হাজার হাজার মোটরসাইকেল দেখা গেছে। টোল প্লাজার ছয়টি বুথের সামনে মোটরসাইকেল আরোহীরা সিরিয়াল দেয়। এতে ব্রিজে অন্য যানবাহন চলাচলে অসুবিধা হয়। বিকাল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত পাঁচটি বুথসহ মোটরসাইকেল এবং একটি বুথসহ অন্যান্য যানবাহন সেতুতে ওঠে। এতে টোল প্লাজার সামনে থেকে সংযোগ সড়কে অন্তত দুই কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়। বর্তমানে সেতুর বিভাগের একটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে মটোর সাইকেল চলাচল বন্ধ রয়েছে।