আগামী শনিবার অর্থাৎ ২৫ জুন উদ্বোধন হতে যাচ্ছে পদ্মা সেতুর। আর এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রন জানানো হয়েছে দেশি বিদেশে বিশিষ্টজনদের। এদিকে বিএনপির ৭ জন নেতাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বলে জানা গেছে। পদ্মা সেতুতে অর্থায়নের পেছনে কলকাঠি নেড়ে অর্থায়নের বিষয়টি নস্যাৎ করে ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তাকেও সেতু বিভাগ থেকে আমন্ত্রণ পত্র দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশের অন্যতম মেগা প্রকল্প পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আমন্ত্রণ জানায়নি সরকার। তবে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনুস জামকালো অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্র গ্রহণ করেছেন এমনটি জানিয়েছেন সেতু বিভাগ জানিয়েছে।
বুধবার সকাল ১১টায় নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এসে পদ্মা সেতু উদ্বোধনের জন্য দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর কাছে আমন্ত্রণপত্র তুলে দেন সেতু বিভাগের সহ-দফতর সম্পাদক দুলাল চন্দ্র সূত্রধর।
আমন্ত্রনপত্রে বিএনপির সাত শীর্ষ নেতার নাম ছিল, সেখানে খালেদা জিয়ার নাম ছিল না। বিএনপির আমন্ত্রিত সাত নেতা হলেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান ও ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন আহমেদ।
সেতু বিভাগের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে গনমাধ্যমকে বলেন, গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ও নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়েছে। আমন্ত্রণপত্রটি বুধবার ড. ইউনূসের পক্ষে গ্রহণ করা হয়েছে। তবে খালেদা জিয়াকে আলাদা কোনো আমন্ত্রণ পাঠানো হয়নি। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, বিদেশি কূটনীতিক, মুক্তিযোদ্ধা ও সাংবাদিকসহ সাড়ে তিন হাজার অতিথিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
অনুষ্ঠানে বিদেশি কোনো অতিথি ছিলেন কি না জানতে চাইলে সেতু বিভাগের কর্মকর্তা বলেন, পদ্মা সেতু নির্মাণে বিশেষজ্ঞ হিসেবে যারা কাজ করেছেন তাদের বিদেশি অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এ ছাড়া আমাদের বিদেশি কর্মীরা যারা এই সেতু নির্মাণে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন তাদেরও আমন্ত্রণ জানানো হবে। বাংলাদেশে নিযুক্ত কূটনীতিকদেরও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের দীর্ঘতম এই সেতুর উদ্বোধন করবেন বলে জানা গেছে। এ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সারাদেশের ৮ থেকে ১০ লাখ মানুষ উপস্থিত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে বহুল প্রতীক্ষিত পদ্মা সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দেশের এই বৃহত্তম স্থাপনার উপর দিয়ে যাত্রা শুরু করবে দক্ষিণ বাংলা সহ সারা দেশের মানুষ, যেটা অনেকটা স্বপ্নপূরণের মত বিষয় হবে।