আগামী ২৫ শে জুন উদ্বোধন হতে যাচ্ছে দক্ষিণবঙ্গের মানুষের কাঙ্খিত পদ্মা সেতু। আর এই সেতু নিয়ে ষড়যন্ত্র এবং জলঘোলা কম হয়নি। সেতু বাস্তবায়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লক্ষ্যকে বানচাল করেছিল একটি মহল। বিশ্ব ব্যাংক যাতে সেতুতে অর্থায়ন না করে অর্থাৎ ঋণ না দেয় সে বিষয়ে চেষ্টা চালায় চক্রান্তকারী মহলটি। এ বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে বিএনপি প্রসঙ্গে মন্তব্য করেন সাধন চন্দ্র মজুমদার।
পদ্মা সেতু হয়ে গেছে, এখন খালেদা জিয়াসহ বিএনপি নেতারা সেতুর নিচে সাঁতার কেটে পদ্মা পাড়ি দেবেন কিনা জানতে চেয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটার দিকে নওগাঁর নিয়ামতপুরে জেলা পরিষদ মিলনায়তনে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বাইসাইকেল ও শিক্ষাবৃত্তি বিতরণ অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এমন প্রশ্ন তোলেন।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, “ড. ইউনূস চেয়েছিলেন পদ্মা সেতু যেন না হয়। শুধু তিনিই দেশে-বিদেশে ষড়যন্ত্র করেননি। খালেদা জিয়া বলেছিলেন, আওয়ামী লীগ সরকার পদ্মা সেতু নির্মাণ করতে পারবে না। সেতু হয়ে গেল এখন খালেদা জিয়া ও বিএনপি নেতারা সেতুর নিচ দিয়ে সাঁতরে পদ্মা পার হবেন?
‘আমার মনে হয় না তারা নৌকায় উঠবে। কারণ নৌকা আওয়ামী লীগের আস্থা ও ভালোবাসার প্রতীক। আগামী ২৫ জুন দেশের আরেকটি বড় অর্জন পদ্মা সেতুর উদ্বোধন হবে। এদিন সারাদেশে উৎসব হবে। দেশের টাকায় নির্মিত বিশাল পদ্মা সেতু বিশ্ব দেখবে।’
মন্ত্রী আরও বলেন, “শেখ হাসিনার জন্য সবাই দোয়া করবেন। তিনি সুস্থ থাকলে দেশ ভালো থাকবে। দেশ ও জাতির উন্নয়নে শেখ হাসিনার সরকার বারবার প্রয়োজন।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নিয়ামতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান ফরিদ আহমেদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ।
তবে পদ্মা সেতু নিয়ে বিএনপি নানা ধরনের কটুক্তিমূলক মন্তব্য করে। সেই সময় তবে এই কাংখিত পদ্মা সেতুর বাস্তবায়নের পর এবার মন্তব্য করলেন মন্ত্রী। তিনি বিএনপি’র কর্মকাণ্ড তুলে ধরে বলেন, বিএনপি চাইনি পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন হোক। এখন পদ্মা সেতু বাস্তবায়নের পর তারা সেই সেতুতে উঠবে কি করে বা তারা কি সেই সেতুতে উঠবে কিনা এমন প্রশ্ন করেন খাদ্যমন্ত্রী।