পদ্মা নদী হলো বিশ্বের দ্বিতীয় খরস্রোতা নদী। এই নদীতে সেতু নির্মাণ করতে যেয়ে নির্মাণকারীদের পোহাতে হয়েছে সীমাহীন দুর্ভোগ। পদ্মা সেতু তৈরিতে সমন্বয় করা হয়েছিলো পৃথিবীর সবথেকে বড় ক্রেন ও হ্যামর। পদ্মা সেতু বাংলার মানুষের গর্ব। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন পদ্মা সেতু তৈরীতে যেসকল যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হয়েছে সেগুলো দিয়ে একটি জাদুঘর বানাতে।
পদ্মা সেতু নির্মাণে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি দিয়ে মাদারীপুরের ভাঙ্গা অংশে জাদুঘর নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার (১৪ জুন) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশনা দেন বলে সভা শেষে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম জানান।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার বিস্তারিত তুলে ধরে শামসুল আলম বলেন, পদ্মা সেতু নির্মাণে নিয়োজিত শ্রমিক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ছবি তুলবেন। এছাড়া সব সচিব ও মন্ত্রীদের সঙ্গে ছবি তুলবেন প্রধানমন্ত্রী। গ্রুপে ছবি তুলতে হবে। শুধু ফটোগ্রাফি নয়, একটি মিউজিয়ামও। ছবিগুলো ওই জাদুঘরে রাখা হবে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বড় বড় সেতুর পাশে জাদুঘর রয়েছে। পদ্মা সেতু নির্মাণে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতিও থাকবে জাদুঘরে। মাদারীপুরের ভাঙ্গা অংশে এটি নির্মিত হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী আগামীতে হাওর এলাকার সব সড়ক নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছেন। হাওর সড়কে ছোট কালভার্ট নির্মাণ না করে বড় সেতু নির্মাণেরও নির্দেশ দেন তিনি।
তিনি বলেন, ভবিষ্যতে হাওর এলাকার রাস্তাগুলো ফ্লাইওভার করা হবে। পানির প্রবাহ নির্বিঘ্ন রাখতে কালভার্টের পরিবর্তে সেতু নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
বাজেটে মূল্যস্ফীতিকে অগ্রাধিকার দেওয়ায় একনেক প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছে বলে প্রতিমন্ত্রী জানান।
একনেক সভায় ১০ হাজার ৮৫৫ কোটি ৬০ লাখ ব্যয়ে ১০টি প্রকল্প অনুমোদন করা হয়। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ব্যয় হবে ৫ হাজার ১৪২ কোটি টাকা।
প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী যদি উদ্যোগ না নিত তাহলে পদ্মার বুকে সেতু কোনোদিনি কড়া সম্ভব হতো না। পদ্মায় সেতু নির্মাণ করে তিনি পরিচয় দিয়েছেন আসীম সাহসিকতার। পদ্মা সেতু নির্মাণ হওয়াতে বাংলার মানুষের মনে আনন্দ আর ধরছেনা। মুখে ফুটেছে হাসির ফোঁয়ারা।