বহু বাধা-বিপত্তি কাটিয়ে অবশেষে স্বপ্নের পদ্মা সেতুর উদ্বোধন হল। প্রধানমন্ত্রীর সাহসি পদক্ষেপে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে। পদ্মা সেতুর মাধ্যমে দেশ আরও একধাপ এগিয়ে গেল বলে মন্তব্য করেন প্রধাধমন্ত্রী। পদ্মা সেতুর মাধ্যমে দক্ষিন-বঙ্গের মানুষের ব্যবসায়-বাণিজ্যের দ্বার উন্মুক্ত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। সেতুর উদ্বোধনের পর চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হলে সেতু। এবার সেতুতে উঠে রেলিং থেকে নাট বল্টু খোলা বায়েজিদের পরিবারে পক্ষ থেকে যা জানানো হল।
স্থানীয় ভাবে বায়েজিদ মৃধা তেমন পরিচিত নাম নয়। তবে স্বপ্নের পদ্মা সেতুর রেলিং থেকে নাটবল্টু খুলে ইতোমধ্যে সারাদেশে ব্যাপক আলোচিত হয়েছেন বায়েজিদ মৃধা। স্বপ্নের পদ্মা সেতুর রেলিং থেকে নাটবল্টু খোলায় অনুতপ্ত ও প্রধানমন্ত্রীর কাছে ক্ষমা চাইলেন পরিবারের সদস্যরা।
বায়েজিদ পটুয়াখালী সদর উপজেলার লাউকাঠি ইউনিয়নের তেলিখালী গ্রামের নির্মাণ শ্রমিক মো. আলাউদ্দিন মৃধার ছোট ছেলে। তিনি স্থানীয় গাবুয়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক এবং পটুয়াখালী সরকারি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন। উচ্চ শিক্ষা অর্জনের লক্ষ্যে তিনি ঢাকা কলেজে ভর্তি হন এবং সেখান থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। বিভিন্ন ধর্মীয় উৎসবে গ্রামের বাড়িতে থাকলেও দু-একদিনের মধ্যে আবার ঢাকায় ফিরতেন। নিকটাত্মীয় ছাড়া কারো সাথে মিশতেন না। কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা নেই বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
তবে বায়েজিদের মেঝো ভাবি হাদিসা আক্তার জানান, “মানুষ হিসেবে বায়েজিদ ভালো, তবে খারাপ কাজ করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে ক্ষমা চাই,যদি তিনি ক্ষমা করেন তাহলে হয়তো ছাড়া পাবেন।
পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বায়েজিদের বিএনপির সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে বলে দাবি করলেও ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি বিপ্লব গাজী তা অস্বীকার করে বলেন, বায়েজিদ বিএনপি বা ছাত্রদলের কোনো মিছিল বা মিটিংয়ে অংশ নেননি। আমাদের দলকে বিতর্কিত করার জন্য মিথ্যাচার করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, বায়েজিদ অপরাধের জন্য তার পরিবারের পক্ষ থেকে ক্ষমা চাওয়া হয়েছে। তার পরিবার প্রধানমন্ত্রীর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা চেয়ে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী ক্ষমা করলে হয়ত বায়েজিদ মুক্তি পেতে পারে।