পদ্মা সেতু বাংলার মানুষের কাছে স্বপ্নের থেকেও অনেক বড় কিছু ছিল এক সময়। তারা কখনো ভাবতেও পারেনি তাদের সেই স্বপ্ন কোনোদিন বাস্তবে রুপ নিবে। কিন্তু বর্তমান সরকারের অক্লান্ত পরিশ্রমে ও সাহসিকতায় পদ্মার উপর সেতু আজ পুরোপুরি দৃশ্যমান। সম্প্রতি জানা গেল আরো একটি নতুন খবর আর সেইটা হলো সেতু চালু না হতেই শরীয়াতপুরবাসী জানালেন রাস্তা বড় করার দাবি।
স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধনের আর মাত্র ১৭ দিন বাকি। এতে শরীয়তপুরসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলার মানুষ উদ্বেলিত ও খুশি। পদ্মা সেতুকে ঘিরে জেলাবাসী আনন্দে উদ্বেলিত হয়ে ওঠে।
আগামী ২৫ জুন সেতুটি যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে। ঠিক তখনই সেতুর সুফল পাবার প্রশ্ন, সরু রাস্তার দুঃখ সবার মনে দেখা দেয়। শরীয়তপুরের নাওডোবা থেকে শরীয়তপুর জেলা শহরের রাস্তা খুবই সরু। তবে পদ্মা সেতুর সঙ্গে সংযোগ সড়ক প্রশস্ত না হওয়ায় খুব একটা সুবিধা পাবে না শরীয়তপুর জেলার মানুষ। এই ফোরলেন প্রকল্পের তিনটি প্যাকেজের একটির দরপত্র হলে এবং বাকি দুটির এখনও টেন্ডার করা হয়নি। ফোরলান কাজের অগ্রগতি না হওয়ায় পদ্মা সেতুর সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবেন শরীয়তপুর জেলার বাসিন্দারা। তাই তাদের রাস্তা প্রশস্ত করার কাজ দ্রুত হবে বলে আশা করছেন তারা।
তবে শরীয়তপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগ বলছে, জমি অধিগ্রহণের জন্য অনেক জায়গায় কাজ হচ্ছে না। যেখানে সরকারি খাস জমি আছে সেখানে কাজ করা হচ্ছে। পদ্মা সেতু থেকে শরীয়তপুর জেলা শহর পর্যন্ত ২৭ কিলোমিটার ফোরলেন সড়কের কাজ তিনটি প্যাকেজে ভাগ করা হয়েছে। ১টি প্যাকেজের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। একটি টেন্ডার প্রক্রিয়াধীন এবং অন্যটি এখনও আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।
শরীয়তপুর জেলা বাস শ্রমিক কর্মচারী ইউডিননের সভাপতি ফারুক চৌকিদার বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে কাঁচা রাস্তায় গাড়ি চালাচ্ছি। পদ্মা সেতুর সঙ্গে অন্যান্য জেলার সংযোগ সড়কের কাজ শেষ হলেও শরীয়তপুরের সংযোগ সড়ক ও ফোরলেনের কাজ এখনো হয়নি। ফলে পদ্মা সেতু উদ্বোধন হলেও সেতুর সুফল পেতে আরও ৩-৪ বছর অপেক্ষা করতে হবে।
শরীয়তপুর সড়ক বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ফোরলেনের কাজের জন্য জমি অধিগ্রহণের কাজ প্রায় শেষের দিকে। এরই মধ্যে প্রথম প্যাকেজের কাজ শুরু হয়েছে।
শরীয়তপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ভূঁইয়া রেদওয়ানুর রহমান জানান, জাজিরার নাওডোবা থেকে শরীয়তপুর জেলা শহর পর্যন্ত তিনটি ফোরলেন কাজের প্যাকেজের একটির কাজ শুরু হয়েছে। বাকি দুটির দরপত্র এখনো হয়নি।
প্রসঙ্গত, এই সরকার হলো জনগনের সরকার আর তাই জনগনের মঙ্গলের জন্য অনবরত করে যাচ্ছেন কাজ এবং নিচ্ছেন বড় বড় মেগা প্রকল্প সম্পাদনের চ্যালেঞ্জ। সরকার জনগনের পাশে থাকলে জনগনও সরকারের পাশে থাকে। পদ্মা সেতু নির্মাণ হওয়াতে বাংলার মানউস সত্যিই অনেক আনন্দিত ও প্রফুল্লিত।