বাংলাদেশের গর্ব হলেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবরের সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা অনেক কূট চাল ও ষড়যন্ত্র কাটিয়ে বাংলার মানুষের স্বপ্ন বাস্তবায়িত করলেন। পদ্মা সেতু নির্মাণ না হলে বাংলার মানুষের দুর্ভোগের শেষ থাকত না। সম্প্রতি পদ্মা সেতু নির্মাণ হওয়াতে বাংলার মানুষ খুশি ও আনন্দে উচ্ছসিত হয়ে প্রধানমন্ত্রীকে উপাধী দেওয়া হলো পদ্মাকন্যা।
দেশরত্ন, জননেত্রী, মাদার অব হিউম্যানিটি ও কওমি জননীর পর এবার ‘পদ্মকন্যা’ খেতাব পেলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের ৭৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় এ বিষয়টি উঠে আসে।
গণভবন থেকে কার্যত বৈঠকে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি সভায় সভাপতিত্ব করেন। দলের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মো. আবদুস সোবহান গোলাপ গণভবন থেকে সভা পরিচালনা করেন।
আলোচনাকালে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রহমান প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে বলেন, “আপা, গতকাল আমরা কয়েকজন গিয়েছিলাম। পদ্মা আপনার জন্য অধীর আগ্রহে আছে। পদ্মাপুরের লাখো মানুষ ‘পদ্মকন্যা শেখ হাসিনা’ দেখার জন্য অপেক্ষা করছে। সাহস ও বীরত্বের মা।
তিনি আরও বলেন, “প্রিয় নেত্রী, আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না। সেখানে শুধু জনসমাগম হবে না, উৎসবের সমাবেশ হবে। আনন্দের জোয়ারে সৃষ্টি হয়েছে নতুন পদ্মা, মানুষ সেই অপেক্ষায় আছে।’ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, জাহাঙ্গীর কবির নানক, এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন (রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র), মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক শাম্মী আহমেদ, কেন্দ্রীয় সদস্য ড. পারভীন জামান কল্পনা, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান ও আবু আহমেদ মান্নাফী।
প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী যত ভালো উপাধী আছে পৃথীবিতে সব উপাধী পাওয়ার যোগ্য। তিনি পদ্মা সেতু নির্মঁ করে কতোবড় যে বীরত্বের ও সাহসের পরিচয় দিয়েছে সেইটা ভাষায় প্রকাশ করা যাবেনা। তিনি আসলেই মানবতার মা এবং সাহসের প্রতীক।