সবাই যখন সেতু উদ্ভদনী অনুষ্ঠানে প্রধান মন্ত্রী লাইভ দেখছিল সেই মূহুর্তে এক যুবক তার হাতে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিচ্ছিলেন। এই ঘটনায় ওই যবুকে আটক করে পুলিশ। ঘটনা সূত্রে জানা যায়, সকালে ঘিওর উপজেলা পরিষদ চত্বরে পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে লাইভ অনুষ্ঠানে এশিয়ান টেলিভিশনের সাংবাদিক সোহেল রানা দেশীয় অস্ত্র (খঞ্জর) নিয়ে যান। এতে অনুষ্ঠানস্থলে উত্তেজনা ও বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ তার কাছ থেকে অস্ত্র উদ্ধার করে, তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। সেখানে তার বিরুদ্ধে মামলা হলে তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়।
অভিযুক্ত সোহেল রানা জানান, দুই দিন আগে ধলেশ্বরী নদীতে অবৈধভাবে ড্রেজিং করার অভিযোগে শনিবার সকালে ড্রেজার ব্যবসায়ী আমিনুর রহমানসহ তিনজন তাকে মারধর করে। এরপর তিনি বাড়িতে গিয়ে নিরাপত্তার জন্য পুলিশকে ফোন করেন। ঘিওর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ বিপ্লব তাকে উপজেলা চত্বরে আসতে বলেন। এরপর হামলার ভয়ে ধারালো ছুরি নিয়ে উপজেলা চত্বরে চলে যান।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হামিদুর রহমান বলেন, পদ্মা সেতু উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য চলাকালে সোহেল রানা ধারালো অস্ত্র নিয়ে অনুষ্ঠানস্থলে এসে উত্তেজনা সৃষ্টি করে। এসময় উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসনসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মুক্তিযোদ্ধা ও রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। তার কর্মকাণ্ডে ভয়ে অনেক ছাত্র ও প্রবীণ ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। পরে পুলিশ তাকে থানায় নিয়ে যায়। একজন সাংবাদিকের এমন আচরণ খুবই দুঃখজনক।
ঘিওর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ বিপ্লব জানান, সোহেল রানা ধারালো অস্ত্র নিয়ে বৈঠকস্থলে গিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। পুলিশ তার কাছ থেকে অস্ত্র উদ্ধার করে প্রথমে থানায় নিয়ে আসে। পরে সন্ধ্যায় এএসআই রাসেল খান বাদী হয়ে সোহেল রানার বিরুদ্ধে মামলা করেন। ওই মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রোববার তাকে আদালতে পাঠানো হবে বলে জানান ওসি।