বহুল আলোচিত পদ্মা সেতু তৈরী নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হয়েছিল। তবে সব বিতর্ক পিছনে ফেলে নিজস্ব অর্থায়নে বর্তমান সরকারের সাহসী পদক্ষেপে পদ্মা সেতুর তৈরীর কাজ শেষ পর্যায়ে। চলতি মাসেই চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। এই মাসেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করবেন বলে জানানো হয়েছে। এবার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিএনপি যাবে কিনা সে বিষয় সম্পর্কে জানালেন বিএনপি মহাসচিব।
পদ্মা সেতু উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিএনপিকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দলটির কেউ সেখানে যাবেন না।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘যে সেতু থেকে বেগম জিয়াকে ফেলে দিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দেয় প্রধানমন্ত্রী, সেই অনুষ্ঠানে যাওয়ার প্রশ্নই উঠে না।
মঙ্গলবার বিকেলে ঠাকুরগাঁওয়ে বিএনপি কার্যালয়ে মহিলা দল আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, পদ্মা সেতুতে যে পরিমাণ অর্থ ব্যয় হয়েছে তা দিয়ে আরও তিনটি পদ্মা সেতু করা যেত।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, পদ্মা সেতুর ব্যয় ধরা হয়েছে ৮ হাজার কোটি টাকা, যা বাড়িয়ে ৩০ হাজার কোটি টাকা করা হয়েছে। এত টাকা কোথায় গেল? পদ্মা সেতুর টাকা দিয়ে আরও ৩টি পদ্মা সেতু তৈরি করা যেত। ‘
তিনি অভিযোগ করেন, সরকার জনগণের উন্নয়ন না করে টাকা পাচার করছে।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘন করে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা চালানোর অভিযোগে কুমিল্লা-৬ আসনের সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারকে নির্বাচনী এলাকা ছাড়ার নির্দেশ দিয়ে চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। গত ৮ জুন নির্বাচন কমিশন চিঠি দিয়ে তাকে এলাকা ছাড়ার নির্দেশ দেয়।
এ প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, নির্বাচনী বিধিমালা মেনে নির্বাচন কমিশন একজন সংসদ সদস্যকে নির্বাচনী এলাকা থেকে বের করতে পারেনি। এ থেকে বোঝা যায় নির্বাচন কমিশন কতটা ব্যর্থ, কতটা অসহায়। ‘
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ঠাকুরগাঁও জেলা মহিলা দলের সভাপতি ফুরাতুন নাহার প্যারিস, জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সাল আমিন, পৌর বিএনপির সহসভাপতি নুর করিমসহ নেতাকর্মীরা।
প্রসঙ্গত, পদ্মা সেতু উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিএনপি যাবে কিনা এমন প্রশ্নে বিএনপি মহাসচিব বলেন যাবার প্রশ্নে উঠে না। তিনি আরও বলেন, যে সেতু উপর থেকে ফেলে দিয়ে আমাদের নেত্রীকে মারার হুমকি দেওয়া হয়েছে।