পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কাল দীর্ঘ এলাকা জুড়ে ছিল কঠোর নিরাপত্তার আওতায়। কোনো ধরণের নাশকতামূলক কাজ যাতে কেউ ঘটাতে না পারে তার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ছিল অতিমাত্রায় সতর্ক অবস্থায়। আর তারই মধ্যে এক সাংবাদিক সাথে করে নিয়ে ছুরি। তারপরে ঐ সাংবাদিক নজরে আসলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাকে গ্রেফতার করে। তখন সাংবাদিক কেন তার সঙ্গে ছুরি বহন করেছিল তার কারণ জানান।
মানিকগঞ্জের ঘিওরে ছুরিসহ সোহেল রানা গিনি নামে এক সাংবাদিককে আটক করেছে পুলিশ। তিনি এশিয়ান টেলিভিশনের স্থানীয় উপজেলা প্রতিনিধি। শনিবার (২৫ জুন) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঘিওর উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
তবে গ্রেফতারকৃত সাংবাদিক সোহেল রানা দাবি করেছেন, যুবলীগের স্থানীয় এক নেতার খবরে তিনি ক্ষুব্ধ হয়েছেন। সে কারণে নিজের নিরাপত্তার জন্য নিজের কাছে একটি ছুরি রেখেছিলেন।
ঘিওর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ বিপ্লব বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, শনিবার সকাল ৯টায় ঘিওর উপজেলা পরিষদের হলরুমে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান চলছিল। সকাল ১০টার দিকে সোহেল রানা হাতে ছুরি নিয়ে উপজেলা পরিষদ চত্বরে আসেন। তার হাতে অস্ত্র দেখে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
এএসআই রাসেল খান বাদী হয়ে ঘিওর থানায় দেশীয় অস্ত্র আইনে মামলা করেছেন। রোববার তাকে আদালতে পাঠানো হবে।
গ্রেফতারকৃত সোহেল রানা জানান, গত ২৩ জুন উপজেলা যুবলীগের উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুর রহমানকে নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেন তিনি। এরপর মারধরের হুমকি দিয়ে আসছিলেন আমিনুর রহমান। শনিবার সকাল ৮টার দিকে সোহেলকে মারধর করে আমিনুর। তাই নিজের নিরাপত্তার জন্য আমি আমার সাথে একটি ছুরি নিয়ে এসেছি।
মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করে আমিনুর রহমান বলেন, সোহেল রানার সঙ্গে ঝগড়া হয়। তাকে মারধর বা হুমকি দেওয়া হয়নি।
প্রসঙ্গত, আনন্দের দিনে সাংবাদিক হয়ে এমন কাজটি করা তার একেবারেই উচিত হয়নি বলে মনে করছেন অনেকেই। তার আসলে জ্ঞান করা উচিত ছিল যে নিজের সঙ্গে চুরি বহন করলে পরিস্থিতি ভিন্ন দিকে চলে যেতে। তা সত্যেও তিনি ছুরি নিয়ে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন।