পদ্মা সেতু নির্মাণের প্রথম থেকেই অনেকেই করেছিলেন বিরোধিতা। অনেকে বলেছেন অনেক কটু কথা। পদ্মা সেতু হলো বাংলাদেশের একটি সম্পদ। দেশে একটি জিনিস তৈরী হলে সেটা সবার জন্যই মঙ্গল ও গর্বের হয়ে থাকে। সেই ক্ষেত্রে সবার উচিত সহযোগিতা করা। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী তার এক বক্তব্যে বলেছেন পদ্মা সেতুর বিরোধিতাকারীদের শাস্তি দেওয়া হবে কিনা সেইটা সময়ই বলে দিবে।
পদ্মা সেতুর বিরোধিতা করে যারা দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে তাদের বিচারের আওতায় আনা হবে কি না জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সময়ই বলবে। বুধবার (২২ জুন) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তৃতাকালে সাংবাদিক প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, এক ব্যক্তির ষড়যন্ত্রে দুর্নীতির অভিযোগ এনে বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতুতে অর্থায়ন বন্ধ করে দিয়েছে। দেশের বিভিন্ন ব্যক্তি ও দলের নেতারা এর বিরোধিতা করেন এবং নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেন। এই ধরনের কাজের জন্য তাদের বিচারের মুখোমুখি করা হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, “সময়ই বলে দেবে।”
পদ্মা সেতু বিরোধীদের ক্ষমা চাওয়া উচিত কি না এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা তাদের বিবেকের বিষয়। আমরা এ বিষয়ে কিছু বলব না।
প্রসঙ্গত, পদ্মা সেতু নিয়ে বিরোধীতা করার কোনো প্রশ্নই ওঠে না কেননা এইটা দেশের মানুষের স্বপ্ন। পদ্মা সেতু নির্মাণ হওয়াতে বাংলার মানুষ যে কতোবড় উপকৃত হয়েছে তা ভাষায় প্রকাশ করা যাবেনা। দেশরত্ন শেখ হাসিনার কাছে চিরদিন ঋণী থাকবে এদেশের মানুষ।