বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হলেন জননেত্রী দেশরত্ন এবং বাংলার মানুষের ভালোবাসার নাম শেখ হাসিনা। বাংলার মনুষের প্রতি গভীর ভালোবাসার জন্যই তিনি এদেশে ফিরে এসে ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী পরপর তিনবার জাতীয় নির্বাচনে জয়ী হয়ে ইতিহাস রচনা করেছেন। তিনি বাংলার মানুষের স্বপ্নগুলো করেছেন একে একে বাস্তবায়ন। যার মধ্যে পদ্মা সেতু হলো অন্যতম। পদ্মা সেতু নির্মান করে প্রধানমন্ত্রী বাংলার মানুষের শত বছরের স্বপ্ন পূরণ করেছেন। সম্প্রতি জানা গেছে পদ্মা সেতুর নাট খোলার ভিডিও ধারণকারী পালিয়ে কাতারে, রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা মেলেনি বায়েজিদের।
পদ্মা সেতু উদ্বোধনের ভিডিও ধারণকারী ব্যক্তির পরিচয় ও অবস্থান শনাক্ত করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। তার নাম কায়সার মামুন (২৬)। ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পরদিনই তিনি কাতারে পালিয়ে যান। আর ভিডিওতে তাকে নাচতে দেখা গেছে। বায়েজিদ তালহারের (৩১) কোনো রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা খুঁজে পায়নি তদন্তকারী দল। তদন্তে জানা যায়, নেতিবাচক ইস্যু তৈরি করাই ছিল দুজনের উদ্দেশ্য।
দেশের সর্ববৃহৎ অবকাঠামো পদ্মা সেতু গত ২৫ জুন উদ্বোধন করা হয়। পরদিন ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে বায়েজিদকে সেতুটি খুলে দর্শকদের সামনে উপস্থাপন করতে দেখা যায়। ওই ঘটনায় গত ২৬ জুন রাজধানীর শান্তিনগর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি।
ওই দিন রাতেই সিআইডি পুলিশের পরিদর্শক শাহিনুল ইসলাম বাদী হয়ে পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করেন। মামলায় বায়েজিদকে আসামি করার পাশাপাশি এ কাজে সহযোগিতা করায় কায়সারকেও আসামি করা হয়।
ভিডিওটি কায়সারের আইডি থেকে আপলোড করা হয়েছে
সিআইডি তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বায়েজিদের বন্ধু কায়সার ঘটনার ভিডিও রেকর্ড করেন। ৩০ থেকে ৩৫ সেকেন্ডের ভিডিওটি কায়সারের TikTok আইডি থেকে আপলোড করা হয়েছিল।
কায়সারের বাড়ি সাভারের নালিয়াসুরের মুশুরিখোলা গ্রামে। সিআইডি সূত্র জানায়, গ্রেফতারের পরদিনই বায়েজিদ কাতার চলে যান।
এ মামলায় গ্রেপ্তারের পর বায়েজিদকে সাত দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিআইডি। পরে আদালত তাকে কারাগারে পাঠায়।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, গ্রেফতারের পর বায়েজিদ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করলেও আদালতে কোনো স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেননি। গ্রেফতারের সময় তার কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া মোবাইলটি ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। এ প্রতিবেদন পাওয়ার পর দুজনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হবে।
সিআইডি জানায়, পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর বায়েজিদ তার বন্ধু কায়সারের সঙ্গে একটি প্রাইভেটকারে বেড়াতে যান। টোল প্লাজায় টাকা দেওয়ার পরে, তারা টিক টোক ভিডিও করতে 30 এবং ৩৫ নম্বর পিলারের মাঝখানে গিয়েছিলেন।
নাগরিকতা মেলেনি বাজিদের
নাট খোলার খোদ পটুয়াখালী সদর দক্ষিণ লাউকাঠির তেলিখালি ভাগে বায়েজিদের স্থানীয় বাসিন্দাদের পাশের দলের একদল- নির্বাচনে ভোটের বিরুদ্ধে অভিযোগ। স্থানীয় ক্ষমতার মালিক-পক্ষরা তখন সুযোগ পায়, বায়েজিদ স্থানীয় রাজনীতির সঙ্গে। তবে শর্তে ভিন্ন ভিন্ন কিছু বলেছে নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট কথাগুলো। পদ্মা সেতু নিয়ে ‘একটি নেতিবাচক ইস্যু তৈরি করতে’ বায়েজিদ ও বন্ধু পারাপার এই ভিডিও চালিয়ে তার কাছে জানতে চাইছে সিডি।
কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বায়েজিদের সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে দেশের একটি জনপ্রিয় সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন তদন্তসংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি বলেন, ঘটনার পর বায়েজিদ সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত বলে প্রচার করা হয়েছিল। তবে বাস্তবে কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে তাঁর সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি। মামলার তদন্তের অগ্রগতি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজাদ রহমান দেশের একটি জনপ্রিয় সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, মামলাটির তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে আদালতে পুলিশি প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পরপরই বায়েজিড নামের এক যুবক টিকটক ভিডিও বানাতে গিয়ে পদ্মা সেতুর নাট-বল্টু খুলে ফেলে এবং সেই ভিডিও মুহূর্তের মধ্যে হয়ে যায় ভাইরাল। এই অপরাধে তাকে গ্রফতার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তবে পদ্মা সেতুর নাট-বল্টু খোলার ভিডিও যে করেছিলো তারে সন্ধান পাওয়া গেছে। জানা গেছে সে কাতারে অবস্থানরত আছেন।