সাম্প্রতিক সময়ে সারা দেশে মোটরসাইকেলের সংখ্যা বেড়েছে। প্রতিনিয়ত মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় প্রয়ানের ঘটনা ঘটছে। এ অবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ সব মহাসড়কে মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ করার পক্ষে ভোট দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। তবে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। সেতুর উদ্ধোদনের ২দিনের মাথায় মোটরসাইকেল বন্ধ করে দেন সেতু কতৃপক্ষ, তবে এখন সেতুর দুই প্বার্শেও মোটরসাইকেল চলাচলে বিষেশ নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার প্রস্তাবনা করেছে সংশ্লীষ্ট কতৃপক্ষ তবে এর কোন আইন এখন বাস্তবায়ন হয়নি।
এবার ঢাকা-ফরিদপুরের মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহাসড়কে ৫৫ কিলোমিটার সড়কে মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ করতে চায় সড়ক ও জনপথ বিভাগ। এ জন্য সরকারের কাছে প্রস্তাবও পাঠিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। বুধবার ঢাকায় সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রধান কার্যালয়ে এক চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে কোম্পানিটির প্রধান প্রকৌশলী একেএম মনির হোসেন এ তথ্য জানান। সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগ এক্সপ্রেসওয়ে রক্ষণাবেক্ষণ, যানবাহন থেকে টোল আদায় এবং এক্সপ্রেসওয়েতে আইটিএস ইনস্টল করার জন্য কোরিয়ান এক্সপ্রেসওয়ে কর্পোরেশনের সাথে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।
মনির হোসেন বলেন, আমরা ইতোমধ্যে এক্সপ্রেসওয়েতে মোটরসাইকেল নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব পাঠিয়েছি। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে মোটরসাইকেল নিষিদ্ধের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এর আগে গত ২৫ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেন। পরদিন সকাল ৬টা থেকে যান চলাচল শুরু হয়। প্রথম দিনেই মোটরসাইকেল চালকরা সেতুর কাছে ভিড় করায় যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে সন্ধ্যায় দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী দুই যুবকের প্রয়ান হয়। পরদিন ২৬ জুন থেকে পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়।
গত ২৫ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেন। উদ্ধোধনের পরদিন সকাল থেকেই যান চলাচল শুরু হয়। প্রথম দিনেই মোটরসাইকেল চালকরা সেতুর দিকে ছুটে যাওয়ায় যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে সন্ধ্যায় দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী দুই যুবকের প্রয়ানের ঘটনায় বাইকারদের নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন সেতু কতৃপক্ষ। পরদিন ২৭ জুন থেকে পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়।