ইতিমধ্যে পদ্মা সেতুর ( Padma bridge ) উদ্বোধন অনুষ্ঠানের সকল ধরনের আয়োজনে চলছে তোড়জোড়। এদিকে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ তালিকা থেকে বাদ পড়ছেন না যারা
পদ্মা সেতু নিয়ে সমালোচনা করেছেন, এমনটাই জানিয়েছেন সড়ক ও পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। যদি নিয়ম থাকে তাহলে বিএনপির ( BNP ) সভানেত্রী বেগম খালেদা ( Begum Khaleda ) জিয়াকে দাওয়াত দেয়া হবে এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে, এমনটাও জানান তিনি।
বিশ্বব্যাংক প্রতিনিধিকে একপাশে রেখে ওবায়দুল কাদের বলেন, পদ্মা সেতুর জমকালো উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশ্বব্যাংক ও বিএনপি জোটের রাজনৈতিক দলগুলোকেও আমন্ত্রণ জানানো হবে।
পদ্মা সেতু বাঙালির অহংকার, তাদের অর্থনৈতিক সম্ভাবনা এবং তাদের দৃঢ়তার প্রতীক। পাহাড়সম ষড়য”ন্ত্র, বি”রোধিতা ও অনিশ্চয়তা কাটিয়ে পদ্মার ওপর স্বপ্নের সেতু এখন উদ্বোধনের জন্য প্রস্তুত। শুধু ২৫ জুনের জন্য অপেক্ষা।
তবে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই অবকাঠামোর স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বিশ্বব্যাংক। তখনো হয়নি অর্থ ছাড়, তবে কাল্পনিক দুর্নীতির অভিযোগে এক দশক আগে প্রকল্পটি হঠাৎ করেই প্রত্যাহার করে নেয় সংস্থাটি।
এরপর আরও তিন উন্নয়ন সহযোগী বিশ্বব্যাংকের দেখানো পথ অনুসরণ করে- এডিবি, জাইকা এবং আইডিবি। ফলে পুরো প্রকল্পটিই চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে যায়।
তবে রাজধানীর একটি অনুষ্ঠানে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর সঙ্গে একই মঞ্চে ছিলেন বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর যখন স্ব-অর্থায়ন স্মৃতিসৌধের উদ্বোধনের কাউন্টডাউন চলছে। পাশে বসা বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধিকে ছু”রিকাঘাত করতে ছাড়েননি মন্ত্রী। তিনি বলেন, পদ্মার মহাসমাবেশে বিশ্বব্যাংকের পাশাপাশি সেতুর বিরোধিতাকারী রাজনৈতিক দলগুলোকে আমন্ত্রণ জানানো হবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, “আমরা প্রস্তুতি শুরু করেছি। বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টরকেও আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। তাকে চিঠি দেব। কার পক্ষে, কে বিপক্ষে- আমি দেখব না। যাদেরকেও চিঠি দেব। যারা রাজনৈতিক দলগুলোতে প্রতিবাদ করছে।’
পরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, দুর্নীতির দায়ে দণ্ডিত বিএনপি চেয়ারপারসনকে আমন্ত্রণ জানানোর বিষয়টিও বিবেচনাধীন রয়েছে। তবে আইনগত দিকগুলো খতিয়ে দেখতে হবে। ‘
কাদের বলেন, বেগম খালেদা জিয়া যদি নিয়মের মধ্যে পড়েন, আমি অবশ্যই তাকে আমন্ত্রণ জানাবো। বিএনপি নেতাদেরও আমন্ত্রণ জানানো হবে।
আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ বিষয়ে বলেন, পদ্মা সেতু এবং মেট্রোরেল বাংলাদেশের দুটি বড় ধরনের উন্নয়ন প্রকল্প, এই বড় ধরনের প্রকল্প বাস্তবে রূপ পাওয়ায় বিএনপি নেতারা এখন হিংসায় জ্বলছে। তাদের হিংসা এখন পরিণত হয়েছে ক্ষোভে আর সেই কারণেই তারা সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসামূলক নানা ধরনের মন্তব্য করেছেন।