পদ্মা সেতুর আয়ের হিসাব দিতে না পারায় অপ্রত্যাশিত ঘটনা, হাসপাতালে আলমগীরের স্ত্রী

বাবার বাড়ি থেকে যৌতুক আনতে বললেও স্বামীর এ প্রস্তাব মেনে না নেয়ায় স্ত্রী তাওহিদুন্নেসাকে (২৫) মারধরের অভিযোগ উঠেছে মো. আলমগীর তালুকদার নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় পুরো এলাকাজুড়ে শুরু হয়েছে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা। এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এ ঘটনায় গত ৩ জুলাই বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত নির্যাতিত গৃহবধূ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তবে কবে হাসপাতাল ছাড়বেন, তা জানা নেই তার।

জানা গেছে, মঙ্গলবার (২৮ জুন) সকাল ১০টায় রাউজান উপজেলার বাগাঁও ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডে যৌতুকের টাকার জন্য তাওহিদুন্নেসাকে মারধর করেন তার স্বামী আলমগীর তালুকদার। তাকে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

নির্যাতনের শি/কার তাওহিদুন্নেসার বাবা মোস্তাক আহমেদ বলেন, যৌতুকের টাকার জন্য আমার মেয়েকে নি/র্যা/ত/ন করা হয়েছে। কী করব কিছুই বুঝতে পারছি না।

তবে অভিযুক্ত স্বামী বলেন, যৌতু’কের জন্য আমার স্ত্রীকে মা’র’ধর’ করেনি। মূলত, বিয়ের সময় আমার স্ত্রী এইচএসসি পাস বলে জানিয়েছিল আমার শ্বশুরবাড়ি থেকে। কৌতূহল বশত আমি আমার স্ত্রীকে পদ্মা সেতু উদ্বোধনের প্রথম দিনে সংগৃহীত অর্থের ভিত্তিতে সারা বছরের আয় বের করতে বলেছিলাম। কিন্তু কোনো হিসাব করতে পারেননি। যোগ-বিয়োগ, গুণ-ভাগ কিছুই জানে না। মূলত পদ্মা সেতুর টোল আদায়ের বার্ষিক হিসাব বের করতে না পারায় মারধর করেছি।

এর আগে গত ৪ বছর আগে পারিবারিকভাবে তাওহিদুন্নেসার সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন মো. আলমগীর তালুকদার। বর্তমানে এক ছেলের সন্তানের অভিভাবক তারা।

এদিকে রাউজান থানার ওসি আবদুল্লাহ আল হারুন সংবাদ মাধ্যমকে এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এরই মধ্যে তারা এ ঘটনার সাথে অবগত হয়েছেন। এরপরও খোঁজ খবর নিয়ে তারা বিস্তারিত জানাবেন বলেও জানান তিনি।