নানা জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে গত বছরের ২৫ জুন বেশ জমকালো আয়োজনের মধ্যদিয়ে স্বপ্নের পদ্মাসেতু উদ্বোধন করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে পরবর্তীতে জনসাধারণের জনই পদ্মাসেতু খুলে দিতেই ঘটে একের পর এক বাইকে দুর্ঘটনা। আর এরই আলোকে বন্ধ করে দেয়া হয় বাইক চলাচল।
কিন্তু এরপর পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল চেয়ে করা রিট করা হয়। আর এরই মধ্যে এলো সেই রিটের ফলাফল।
পদ্মা সেতু দিয়ে মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধের বিরুদ্ধে করা রিট খারিজ করা হয়েছে। রোববার (১৫ জানুয়ারি) বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রিটটি নিষ্পত্তি না হওয়ায় খারিজ করে দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ইয়ারুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আজাদ।
এর আগে পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচলের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়। রিটে পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচলে নিষেধাজ্ঞার সরকারি সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়।
বাংলাদেশ রিপাবলিকান পার্টির চেয়ারম্যান আবু হানিফ হৃদয় নামের একটি সংগঠনের চেয়ারম্যান জনস্বার্থে এই রিটটি করেন। তিনি যাত্রাবাড়ীর বাসিন্দা। রিটে বিবাদী হলেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ ও সংশ্লিষ্ট পক্ষ।
বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) রিট আবেদনকারী অ্যাডভোকেট ইয়ারুল ইসলাম গণমাধ্যমকে রিট দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
উল্লেখ্য, একের পর এক বাইক দুর্ঘনার পর উদ্বোধনের মাত্র দুইদিনের মাথায় পদ্মাসেতুতে বাইক চলাচল নিষিদ্ধ করে সরকার। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত সেতুতে বাইক চলাচল বন্ধ রয়েছে।