নানা জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে গত ২৫ জুন বেশ জমকালো আয়োজনের মধ্যদিয়ে স্বপ্নের পদ্মাসেতু উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখা হাসিনা। এরপর রোববার সকাল ৬ টা থেকে জনসাধারণের জন্য পদ্মাসেতু খুলে দেয়া হলেও রীতিমতো বেঁধে দেয়া হয়েছে নানা বিধিনিষেধ।
আর এ বিষয়টি আবারও মনে করিয়ে দিলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
পদ্মা সেতুতে পায়ে হাঁটার কোনো সুযোগ নেই। এ বিষয়টি আরও কঠোরভাবে মনিটরিং করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
রোববার (৩ জুলাই) মন্ত্রিসভার বৈঠক কক্ষে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন। এর আগে গণভবন থেকে ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভার বৈঠকে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিং করেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মো.
তিনি বলেন, পদ্মা সেতুতে মানুষের চলাচলের কোনো সুযোগ নেই। সেতুর ওপর কোনো ফুটপাত বসানো হয়নি। এখানে চলাচলের কোনো ব্যবস্থা নেই। রেলওয়ে ব্রিজের নিচের দিকে ট্র্যাক বসানো হয়েছে। উপরে একটি সার্ভিস লেন আছে। যখন মেইটেন্যান্সের কাজ করবে, যারা করবেন, তারা এসে তাদের গাড়িটা সাইডে রেখে ওই সার্ভিস লেনে চলাফেরা করতে পারবে।
তিনি আরও বলেন, গত পরশুদিন রাতেও আমাকে ফোন করেছে। তারা (আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী) তিন-চারজনকে ধরে নিয়ে গেছে। গাড়ির জরিমানা দিতে পারিনি। তবে এগুলো আরও কঠোরভাবে দেখা হবে।
এদিকে পদ্মাসেতু খুলে দেয়ার প্রথম দিন বাইক চলাচল স্বাভাবিক থাকলেও, পরবর্তীতে একের পর এক দুর্ঘটনার খবরে পদ্মাসেতুতে বাইক চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়। ফলে অনেকটা বিপাকে পড়েছেন বাইকাররাও।