ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলা বিএনপি, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের শতাধিক নেতাকর্মী দল থেকে পদত্যাগ করেছেন। মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এ ঘোষণা দেন।
পদত্যাগ করা নেতাকর্মীরা নিজেদের বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত ও ঝালকাঠি-১ আসনের আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ব্যারিস্টার মুহাম্মদ শাহজাহান ওমরের অনুসারী বলে দাবি করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে তারা জানান, শাহজাহান ওমরের সঙ্গে নির্বাচনে অংশ নিতে তারা পদত্যাগ করেছেন।
তারা কাঁঠালিয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় শাহজাহান ওমরের নির্বাচনী কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে নির্বাচন করার ঘোষণা দেন।
পদত্যাগকারীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন কাঁঠালিয়া উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ইলিয়াছ মিয়া ও মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান মারুফ, যুবদলের সহ-সভাপতি তরিকুল ইসলাম বশির, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক হাসিব ভুট্টো ও সদস্য সচিব জাকির হোসেন।
তাদের নেতৃত্বে উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের শতাধিক নেতাকর্মী বিএনপি থেকে পদত্যাগ করে আওয়ামী লীগে যোগদানের ঘোষণা দেন। এ সময় কাঁঠালিয়া উপজেলা বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা আব্দুল জলিল মিয়াজী, জাকির হোসেন কবির প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ইলিয়াছ মিয়া বলেন, ‘আমরা শাহজাহান ওমরের ঘনিষ্ঠ সহযোদ্ধা। সব সময় তাঁর পাশে ছিলাম, এখনো আছি। তিনি আওয়ামী লীগে যোগদান করেছেন, আমরাও তাঁর পক্ষে নির্বাচন করতে প্রস্তুতি নিয়েছি। শাহজাহান ওমরের বিজয় নিশ্চিত হবে।
তিনি বিপুল ভোটে বিজয়ী হবেন।
শাহজাহান ওমর ২৯ নভেম্বর কারাগার থেকে মুক্তি পান। ৩০ নভেম্বর তিনি গণভবনে গিয়ে শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেন এবং আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিতে মনোনয়নপত্র জমা দেন। এ খবরে শাহজাহান ওমরকে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যানের পদসহ সব পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়। রোববার ঝালকাঠির রিটার্নিং কর্মকর্তা তার মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেন।
এরপর সোমবার কাঁঠালিয়া সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এক সমাবেশে বক্তব্য দেন তিনি। এই সমাবেশে বিএনপির সভাপতি আবদুল জলিল মিয়াজি বন্দুক হাতে শাহজাহান ওমরের পাশে বসেছিলেন। এ ঘটনার পর নির্বাচনী তদন্ত কমিটি ব্যারিস্টার মুহাম্মদ শাহজাহান ওমরকে আচরণবিধি লঙ্ঘনের জন্য শোকজ করে। শোকজের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনে কেন প্রতিবেদন পাঠানো হবে না, সে বিষয়ে আগামী বুধবারের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে।