ঢাকা মহানগরীর ৯ থানায় জাতীয় পার্টির ৬৭১ নেতাকর্মীর পদত্যাগের সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন দলটির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, নির্বাচনের দিন দলীয় প্রার্থীর জন্য এজেন্ট দেওয়ার মতো লোক না থাকলেও পদত্যাগ করতে এত কর্মী এলো কোথা থেকে?
মুজিবুল হক চুন্নু শনিবার বিকেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন।
জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক বলেন, নির্বাচনে শেরীফা কাদেরের আসনের কেন্দ্রে এজেন্ট দেওয়ার লোক যেখানে ছিল না, সেখানে পদত্যাগ করার এত কর্মী সেন্টু সাহেব কোথায় পেল। আমরা বিষয়টি নিয়ে গবেষণা করব। তিনি বলেন, যারা পদত্যাগ করতে মিছিল নিয়ে গেছে, তাদের ৭-৮ জনকে মাত্র চিনি। জাতীয় পার্টিতে এত কর্মী ছিল সেটাও আজ জানলাম।
এই পদত্যাগে দলের কোনো প্রভাব পড়বে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপি থেকে অনেক কর্মী চলে গেছে। এতে দলের কোনো ক্ষতি হয় না।
পদত্যাগী নেতাদের নতুন রাজনৈতিক দল গঠন প্রসঙ্গে মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, নতুন দল গঠন করলে তাদের স্বাগত জানাই। এটা গণতন্ত্রের জন্য মঙ্গলজনক। তবে রওশন এরশাদ তাদের পৃষ্ঠপোষক কিনা সেটাই দেখার বিষয়।
জাতীয় পার্টির নেতৃত্বে জিএম কাদের, এটাই একমাত্র পার্টি। এরশাদের আদর্শ থেকে বিচ্যুতির অভিযোগ তুলে ইতোপূর্বেও অনেকে দল ছেড়ে চলে গেছেন। কিন্তু তারা জানে না এরশাদের আদর্শ কী। বলতে পারলে আমি পদত্যাগ করব।