নির্বাচনের সময় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও মহাসচিব বিপুল অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ প্রমাণ করতে পারলে সাধারণ সম্পাদকের পদ ছাড়বেন বলে জানিয়েছেন মুজিবুল হক চুন্নু। তিনি বলেন, কারো কারণে হেরে যাওয়া ব্যক্তিরা সংগঠনের বিরুদ্ধে এমন বক্তব্য দিচ্ছেন। তবে কে জ্বালানি দিচ্ছে তা সময়ই জানা যাবে।’
সোমবার বিকেলে রাজধানীর বনানীতে চেয়ারম্যানের কার্যালয় থেকে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। চুন্নু আরও বলেন, রোববার যারা জাতীয় পার্টির বিরুদ্ধে সমাবেশ করে বিক্ষোভ করেছে তাদের কেউই পাস করার মতো প্রার্থী নয়।
জাপা সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘দলের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে উচ্ছৃঙ্খল বক্তব্য দেওয়ায় সাবেক মন্ত্রী কাজী ফিরোজ রশীদ ও এইচ এম এরশাদের সাবেক প্রেস সচিব সুনীল শুভ রায়কে বহিষ্কার করা হয়েছে। তাদের বহিষ্কার করায় দলে ভাঙনের আশঙ্কা নেই।
এর আগে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পরাজয়ের কারণে রোববার জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের ও সাধারণ সম্পাদক মুজিবুল হক চুন্নুকে দলের পরাজিত প্রার্থীরা বরখাস্ত করেন। এদিন রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী জাতীয় পার্টির প্রার্থীদের এক মতবিনিময় সভায় বক্তারা জিএম কাদের ও চুন্নুকে ‘প্রতারক’ আখ্যা দিয়ে ক্ষুব্ধ মন্তব্য করেন।
দলটির বিক্ষুব্ধ নেতাদের দাবি, নির্বাচন উপলক্ষে জাতীয় পার্টিকে সরকার অনেক টাকা দিয়েছে। তিনি আরও আসনে ছাড় দিতে ইচ্ছুক ছিলেন। কিন্তু নিজেদের ব্যর্থতার কারণে জাতীয় পার্টি তা অনুধাবন করতে পারেনি। এর জন্য দলের সাধারণ সম্পাদক চুন্নুই বেশি দায়ী বলে মনে করেন তারা