সম্প্রতি একটি ঘটনা গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তুমুল সমালোচনার সৃষ্টি করেছে। ঘটনা সুত্রে জানা যায় সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশের তুমুল জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগুমের স্বামীকে বেদমভাবে প্রহার করেছে স্থানীয় কিছু লোকেরা। শুধু তাই নয় ঘটনার বিবরণে জানা যায় তার স্বামীর গাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
প্রখ্যাত কণ্ঠশিল্পী এবং সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমের স্বামীর নাম ডাঃ আ স ম মঈন হাসান। তার গাড়িতে হামলার ঘটনায় তিনি গুরুতর আহত হন। এই ঘটনার ৪ দিন পর তিনি ৬ জনকে আসামি করে সিংগাইর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। ওই অভিযোগে তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে উল্লেখ করা হয়।
সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমের স্বামী ডা. এএসএম মঈন হাসান জানান, গত মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) বিকেলে তিনি সিংগাইর উপজেলার বাস্তা বাসস্ট্যান্ডের পূর্ব পাশে বিন্নাডাঙ্গীস্থ রোকেয়া চক্ষু কেন্দ্র থেকে তার প্রাইভেটকারে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হন। এসময় একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশা তার গাড়ি থামায়। বেশ কয়েকজন অটোরিকশা থেকে নেমে সোডা, লোহার রড ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে তার গাড়িতে হামলা চালায়। এতে তার গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং তিনিও আহত হন।
তিনি আরও বলেন, কেন তার গাড়িতে হামলা হয়েছে তা তিনি জানেন না। তবে যারা হামলা করেছে তারা স্থানীয় লোকজন। হামলার পর তাদের শনাক্ত করা হয়। তারা সিংগাইরের গাজিন্দা গ্রামের মো. জজ মিয়ার ছেলে মো. নয়ন মিয়া (৩০), একই গ্রামের হযরত আলীর ছেলে মোসলেম উদ্দিন, মধ্য ধল্লা গ্রামের শুকুর আলীর ছেলে মো. রুবেল একই গ্রামের ফিরোজ মুন্সির ছেলে। আশরাফ আলী বস্তা গ্রামের আব্বাস উদ্দিনের ছেলে মো. নাসির উদ্দিন, একই গ্রামের আনোয়ার আলীর ছেলে পাঙ্গা জসিম ও অজ্ঞাত আরও ২-৩ জন।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুর রহমান বলেন, আ স ম মঈন হাসানের ওপর হামলার ঘটনা শুনেছেন সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমের স্বামী ডা. ঘটনাটি নিন্দনীয়। ঘটনার সঙ্গে দলের কোনো নেতা-কর্মী জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সিংগাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সফিকুল ইসলাম মোল্যা জানান, সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমের স্বামী এএসএম মঈন হাসান গত ২৬ আগস্ট তার ওপর হামলার বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পান। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
এ ঘটনায় আসামীদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। কেন তারা সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমের স্বামীর গাড়িতে হামলা ও মঈন হাসানের গায়ে হাত তুলেছেন সে বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। আটককৃত চারজন ছাড়া এ ঘটনায় অন্য কেউ জড়িত আছে কিনা সে বিষয়ে কোনো তথ্য এখনো পর্যন্ত জানা যায় নি। যায়নি তবে পুলিশ ধারণা করছে এ ঘটনার পেছনে আরো বড় কোন চক্রান্তকারী রয়েছে। তদন্ত শেষে পুরো বিষয়টি স্পষ্ট হবে বলে আশা রেখেছেন তারা।