টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে বাধা দেওয়ায় স্বামীকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে স্ত্রীর বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত স্ত্রীর বিরুদ্ধে ধনবাড়ী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন স্বামী গণেশ চন্দ্র পাল।
উপজেলার পাইস্কা ইউনিয়নের কয়রা মধ্যপাড়া গ্রামের স্বর্গীয় মনিন্দ্র চন্দ্র পালের ছেলে গণেশ চন্দ্র পালের সঙ্গে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযোগকারী স্বামী গণেশ চন্দ্র পাল জানান, নেত্রকোনা জেলার বারহাট্টা উপজেলার জিতেন্দ্র পালের মেয়ে সুমা রানী পালের সঙ্গে গত ৯ বছর আগে বিয়ে হয়। আমাদের সংসারে এক ছেলে ও এক মেয়ে আছে। বিয়ের পর আমাদের সংসার ভালোই চলছিল। কয়েক বছর আগে আমার স্ত্রীর বিবাহবহির্ভূত প্রেমের সম্পর্কে জানতে পেরে সে আমার ওপর রাগ করে সাত দিনের জন্য বাড়ি ছেড়ে চলে যায়।
পরে সে এই সম্পর্ক ছেড়ে দেয় তাই আমার স্ত্রী পারিবারিক চুক্তিতে আমার বাড়িতে ফিরে আসে। আমার স্ত্রী আমার অজান্তেই গোপনে এই বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক চালিয়ে যাচ্ছিল। হঠাৎ করে আমার স্ত্রী ও তার পরকীয়া প্রেমিক অসীম চন্দ্র পাল পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আমার বসার ঘরে একসাথে বালিশ চেপে আমাকে হত্যার চেষ্টা করে।
আমার গোংরানির শব্দে পাশের ঘরে থাকা আমার বড় ভাই ও তার স্ত্রী আমাকে উদ্ধার করতে এসে আমার স্ত্রী ও তার পরকীয়া প্রেমিক অসীমকে আটক করে। পরে পুলিশকে খবর দিলে তারা এসে দুজনকে থানায় নিয়ে যায়। অসীম আমার শ্বশুর বাড়ির পাশের উপজেলা দুর্গাপুরের রামপুর গ্রামের শ্যামল চন্দ্র পালের ছেলে। আমি আমার স্ত্রী সুমা রানী পাল ও তার পরকীয়া প্রেমিক অসীম চন্দ্র পালের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।
অভিযুক্ত সুমা রানী পাল বলেন, আমি বাঁচলেও প্রেমিক অসীমের সাথেই থাকবো, মরে গেলেও দুজনে একসাথে মরবো। এ বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।
থানার ওসিএইচএম জসিম উদ্দিন ‘দৈনিক জনকণ্ঠ’কে বলেন, খবর পেয়ে দুই ছেলে-মেয়েকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। অভিযুক্ত সুমা রানী পালের স্বামী গণেশ চন্দ্র পাল বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। বৃহস্পতিবার সকালে দুজনকেই টাঙ্গাইল কারাগারে পাঠানো হবে।