বাংলাদেশের ক্ষমতাধর দুটি রাজনৈতিক দল আওয়ামীলীগ ও বিএনপি। প্রায় সময় এই দুই দলের নেতাকর্মীরা একে অন্যের সমালোচনায় মেতে থাকেন। সম্প্রতি বিএনপি দলের বিরুদ্ধে এক অভিযোগ তুলেছেন তথ্যমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। তারা জানিয়েছেন বিপরুল পরিমানের টাকা খরচ করে বিএনপি দল লবিস্ট নিয়োগ করেছে। এই প্রসঙ্গে বেহস কিছু কথা বললনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন
বিভিন্ন মন্ত্রীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, তার দল কখনো লবিস্ট নিয়োগের প্রয়োজন অনুভব করেনি। তিনি বলেন, ‘বিএনপি কখনো কোনো লবিস্ট নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয়নি। লবিস্ট নিয়োগের প্রয়োজনও বোধ করেনি। লবিস্টরা যা বলবেন, তা বিএনপির নেতারাই খোলাখুলি বলছেন। খন্দকার মোশাররফ হোসেনসহ স্থায়ী কমিটির একাধিক সদস্য উপস্থিত ছিলেন। এ সময় মোশাররফ বলেন, বিএনপি নেতারা দেশকে একদলীয় স্বৈরাচারে ফিরিয়ে আনার পরিকল্পিত প্রচেষ্টাকে প্রতিহত করে গণতন্ত্র রক্ষায় নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জনগণের ওপর সরকারের বর্বরতা, গু/ম, খু/ন, বিচারব/হি/র্ভূ/ত হ/ত্যা, মিথ্যা ও অনুপস্থিত মামলা দিয়ে হয়/রা/নি করছেন। গ্রে/প্তা/রের মাধ্যমে নি/র্যা/ত/ন ও মৌলিক মানবাধিকার, সমাবেশ ও বাকস্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত করার ঘটনা দেশে বিদেশে ছড়িয়ে পড়েছে। বিএনপি নেতারা প্রকাশ্যে গণতন্ত্রকামী জনগণ, সংগঠন, প্রতিষ্ঠান এমনকি রাষ্ট্রকেও তাদের মতামত ও মতামতের কথা জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, বিএনপি মহাসচিবের চিঠির কপি পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের মধ্যে বিতরণ করেছেন এমন কোনো বক্তব্য নেই যা তিনি এবং দলের অন্য নেতারা প্রকাশ করেননি বা গণমাধ্যমে প্রকাশ করেননি। এসব বক্তব্যের কোনোটিই জনগণ বা দেশের স্বার্থবিরোধী নয় বরং জনগণ ও দেশের জন্য বিএনপির নৈতিক অবস্থান। মোশাররফ হোসেন বলেন, সরকারের মন্ত্রীরা দাবি করেছেন তারা কোনো লবিস্ট নিয়োগ করেননি। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, তিনি একটি “জনসংযোগ সংস্থাকে” কিছু দায়িত্ব দিয়েছেন। কিন্তু প্রমাণ সম্পূর্ণ ভিন্ন। তিনি বলেছিলেন যে বিজিআর ছাড়াও, একজন লবিস্ট যিনি বহু বছর ধরে নিয়মিত কাজ করছেন, আরেক লবিস্ট, ফ্রিডল্যান্ডারকে গত বছরের সেপ্টেম্বরে একটি শীর্ষ সম্মেলন এবং বিনিময় পরিদর্শন আয়োজনের জন্য ৪০,০০০ ডলারে ১ মাসের ফি দিয়ে নিয়োগ করা হয়েছিল। দুই দেশের মধ্যে। এ ব্যাপারে কেঁচো খুড়তে গেলে আরও বহু বড় বড় সাপ বেরিয়ে আসবে।
এক লিখিত বক্তব্যে তথ্য ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোশাররফ বলেন, যদি দুই মন্ত্রী এসব চুক্তির কথা না জানতেন তাহলে সরকার ও সরকারের উচিত দলীয় কর্মকাণ্ড সম্পর্কে অজ্ঞ বিজ্ঞ মন্ত্রীদের মতো কথা বলা বন্ধ করা। এবং যদি আপনি জানেন, তথ্য গোপন করার অভিযোগের জন্য আপনার প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়া উচিত।
মোশাররফ আরও বলেন, সরকার ক্ষমতায় থাকার জন্য যে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে ভয়ের সংস্কৃতি গড়ে তুলেছিল, সেই একই প্রতিষ্ঠানগুলোকে ব্যবহার করে বিএনপিকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে। তিনি দাবি করেন, সরকার ও ক্ষমতাসীন দল লবিস্ট নিয়োগে জনগণের অর্থ ব্যয় করে এবং অর্থের উৎস অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন প্রকাশ করুক। সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান ও আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
দীর্ঘ দিন ধরে ক্ষমতার বাইরে রয়েছে বাংলাদেশের ৩ বার সরকারের দায়িত্ব পালন করা ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল বিএনপি। এবং বর্তমান সময়ে এই দলটির অসংখ্য নেতাকর্মী রাজনৈতিক ভাবে একাধিক মামলায় জর্জরিত। এমনকি এই দলটির চেয়ারপারসনের বিরুদ্ধেও রয়েছে একাধিক মামলা। এবং বর্তমান সময়ে তিনি জিয়া অরফানেজ ট্রাষ্ট দূর্নীতি মামলায় সাজা ভোগ করছেন।