মাঝেই মাঝেই সংবাদ মাধ্যমে উঠে আসে শিক্ষক কর্তৃক ছাত্রীকে খারাপ কাজ করার ঘটনা। এবার তেমনই একটি ঘটনা ঘটলো সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার একটি এলাকায়। যেখানে ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীকে পড়াতে গিয়ে খারাপ কাজ করার চেষ্টা করে। এই ঘটনায় ঐ এলাকায় সমালোচনা শুরু হয়েছে ঐ শিক্ষককে নিয়ে।
সাতক্ষীরার শ্যামনগরে ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীকে খারাপ কাজ করার চেষ্টার অভিযোগে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টার দিকে শ্যামনগরের বাদাঘাটা এলাকার বাসা থেকে লুৎফর রহমান নামের ওই প্রধান শিক্ষককে আটক করা হয়।
মাম’লার বিবরণে জানা যায়, ওই শিক্ষক ঐ ছাত্রী ও তার তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া ভাইকে বাড়িতে গিয়ে প্রাইভেট প্রাইভেট পড়াতেন। কয়েকদিন আগে প্রাইভেট পড়াতে গিয়ে ছাত্রীকে খারাপ কাজ করার চেষ্টা করলে তার চিৎকার শুনে তার পরিবার ও প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। সেই সময় ঐ শিক্ষক সেখান থেকে পালিয়ে যান। এমনকি মাঝে মাঝে ঐ ছাত্রীর বিশেষ বিশেষ অঙ্গে হাত দেওয়ার চেষ্টা করতেন, বলেও অভিযোগ উঠেছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শ্যামনগর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাখাওয়াত হোসেন বলেন, “মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে শ্যামনগর থানায় মামলা করেছেন। ওই মামলার অভিযুক্ত শিক্ষককে তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করেছি। আজ মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টায় সাতক্ষীরা আদালতে পাঠানো হবে।
মেয়েটির বাবা জানান, বিষয়টি জেলা শিক্ষা অফিসার অজিত কুমার সরকারকে জানানো হয়েছে এবং আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আমি ওই শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
নুরুল ইসলাম বাদল যিনি শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেছেন, আমরা অভিযোগ পেয়েছি। মেয়েটির বাবা বাদি হয়ে মামলা করেছেন। এই বিষয় তদন্ত শুরু হয়েছে। আমরা আইনগত পদক্ষেপে যাচ্ছি।