দলীয় কোন্দল ও দলত্যাগীদের অবমূল্যায়নের কারণে নৌকার প্রার্থীকে হারিয়ে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার ধুলারসার ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাত পাখা প্রতীকের প্রার্থী হাফেজ আব্দুর রহিম নির্বাচিত হয়েছেন। এর সঙ্গে জেলায় প্রথমবারের মতো হাত পাখা প্রতীকের প্রার্থী জয়ী হয়েছেন।
বুধবার (১৫ জুন) নবম ধাপের ইউপি নির্বাচনে ধুলারসার ইউনিয়নের বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন আব্দুর রহিম। রাতে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুর রশিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, হাত পাখা প্রতীকে আব্দুর রহিম পেয়েছেন ৪ হাজার ৩১২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীকে মো. মোদাছ হাওলাদার পেয়েছেন ২ হাজার ৯৫৩ ভোট। এ ইউনিয়নে ভোটার ১৪ হাজার। প্রায় ৮২% ভোট পড়েছে ইভিএমে। নৌকা ও হাত পাখাসহ চেয়ারম্যান পদে পাঁচজন প্রার্থী ছিলেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কলাপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের একজন দায়িত্বশীল নেতা জানান, অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে এ ঘটনা ঘটেছে। কোনো নেতাকে নৌকা প্রতীক ত্যাগ করতে দেখা যায়নি। সে কারণে সেখানে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ছিলেন, বিএনপির একজন নেতাও প্রার্থী ছিলেন। তারা সবাই একত্রিত হয়ে নৌকাকে হারানোর চেষ্টা করে।
এদিকে বুধবার সদর উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের মধ্যে তিনটিতে নওকা ও দুটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। দশমিনা ও কলাপাড়া উপজেলার দুটি ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন।
সদর উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়ন পরিষদে নৌকার প্রার্থী সালমা জাহান, ইটবাড়িয়া ইউনিয়নে নৌকা প্রার্থী মোজাম্মেল হক জোমাদ্দার, জৈনকাঠি ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোহাম্মদ মহসিন, মাউকরণ ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী কাজী রইসুল ইসলাম সেলিম ও লাউকাঠি ইউনিয়নে বিজয়ী হয়েছেন। প্রার্থী ইলিয়াস হোসেন।
দশমিনা উপজেলার চরবোরহান ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী নাজির সরদার, কলাপাড়া উপজেলার লতাচাপলী ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী আনসার উদ্দিন মোল্লা ও ধুলারসার ইউনিয়নে হাত পাখা প্রার্থী আব্দুর রহিম বিজয়ী হয়েছেন।
বুধবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোট গণনা শেষে ফলাফল ঘোষণা করা হয়। পটুয়াখালীর ৩ উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশন (ইসি) সোমবার পটুয়াখালীর তিন উপজেলার ছয়টি ইউনিয়ন পরিষদের ১৫ জুনে ভোগ গ্রহন শুরু হয় । ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী পটুয়াখালী সদর উপজেলার ৫টি, কলাপাড়া উপজেলায় ২টি ও দশমিনা উপজেলার ১টি ইউনিয়ন পরিষদে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ইউনিয়নগুলো হলো সদর উপজেলার জৈনকাঠি, কালিকাপুর, ইটবাড়িয়া, মৌকরন ও লাউকাঠি। কলাপাড়া উপজেলায় দুটি লতাচাপলী ও ধুলাসার এবং দশমিনা উপজেলা চরবোরহান। নৌকা ও হাত পাখাসহ চেয়ারম্যান পদে পাঁচজন প্রার্থী ছিলেন।