শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি ধস হবার পর থেকে বাংলাদেশের অর্থ নিয়ে সবাই আশঙ্কায় রয়েছেন। দেশের অনেকেই মনে করছেন বাংলাদেশের অবস্থা শ্রীলঙ্কার মত না হয়ে যায়। তবে সেই ধরণের অবস্থা হবার কোনো সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন সরকার ও মন্ত্রীরা। বাংলাদেশে রয়েছে সুযোগ্য প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীরা। তারা থাকতে দেশের অবস্থা কখনই খারাপ হতে পারেনা। সম্প্রতি জানা গেছে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক শামসুল আলম বলেন আশঙ্কাবাদী অর্থনীতিবিদদের কথা শুনে শেখ হাসিনা দেশ চালান না’।
বাংলাদেশের অর্থনীতি নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই, বলেছেন বাংলাদেশের পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক শামসুল আলম তিনি দেশের বর্তমান পরিস্থিতিকে ‘বিশ্বব্যাপী চাপিয়ে দেওয়া সংকট’ বলেও অভিহিত করেছেন। ‘খালেদ মুহিউদ্দিন জানতে চান’ টকশোতে এবারের আলোচনার বিষয় ছিল ‘ফরেন এক্সচেঞ্জ অ্যান্ড ইকোনমি ক্রাইসিস’। এই টকশোতে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম ছাড়াও পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর
বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যাওয়ায় সামগ্রিকভাবে অর্থনীতিতে কতটা সংকট তৈরি হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক শামসুল আলম বলেন, তিনি আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ দেখছেন না।
পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী বলেন, এতটা নার্ভাস বা শঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। কিন্তু আমরা ভীতি তৈরিতে খুব ভালো পদ্মা সেতু নিয়ে আমাদের অনেক শঙ্কা ছিল না, এটা করা যাবে না, তাই প্রধানমন্ত্রী যদি ওই হতাশাবাদী অর্থনীতিবিদদের কথা শুনে দেশ চালাতেন, তাহলে আজ পদ্মা সেতু বাস্তবায়িত হতো না। আমি ভয় উড়িয়ে দেব।
তিনি বলেন, “আমরা সর্বত্র অনেক ভয়ের শব্দ শুনি,” তিনি বলেন, এই আশঙ্কা, সেই আশঙ্কা, এটা হচ্ছে না, সেটা হচ্ছে না হিসাবটা পরিষ্কার, ৪০ বিলিয়ন (মার্কিন ডলারে বাংলাদেশের রিজার্ভ) সঠিক বাকিটা উৎপাদন ব্যবস্থায়। , যা আমাদের সম্পদ তৈরি করতে সাহায্য করছে
মেগা প্রকল্পের ঋণ নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না বলে জানিয়েছেন ড. আহসান এইচ মনসুর তিনি মনে করেন যে অনেক ক্ষেত্রে, সরকার সমস্ত দিক বিবেচনা না করেই প্রকল্প গ্রহণ করে “প্রতিটি প্রকল্পের ন্যায্যতা থাকা উচিত,” তিনি বলেন, অর্থনৈতিক ন্যায্যতা, সামাজিক, রাজনৈতিক এবং সক্ষমতা বিবেচনায় নিয়ে প্রকল্পগুলি গ্রহণ করা দরকার। প্রকল্পের সম্ভাব্যতা।
তিনি বলেন, “আমাদের মতো অনেক দেশেই যে সমস্যাটি হয় তা হল, মাঝে মাঝে প্রকল্প নেওয়া হয় কিন্তু সবকিছু বিবেচনা করা হয় না।” আমরা যতদূর বলতে পারি রূপপুরে খুব বেশি কিছু করা হয়নি এর পরিবেশ মূল্যায়ন করা হয়নি, অভ্যন্তরীণ আয়ের হার এবং প্রকল্পের ব্যয় প্রকল্পের আউটপুটের চেয়ে বেশি। আপনি এটি সম্পর্কে অনেক প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করতে পারেন, কিন্তু প্রকল্প ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে এবং এখন আর কিছু করার নেই আমাদের এই বোঝা টানতে হবে।
পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে রেললাইন নির্মাণের সিদ্ধান্ত ভালো, কিন্তু রেলওয়ের অন্যান্য প্রকল্প যথাযথভাবে বিবেচনায় নেওয়া হয়নি উল্লেখ করে ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, বাংলাদেশ রেলওয়ে এমন একটি প্রতিষ্ঠান যা কোনো ঋণ শোধ করতে পারে না। এবং কোম্পানিটি তার পঞ্চাশ বছরের ইতিহাসে কখনও লাভ করতে পারেনি।”
আর্থিক সংকটের কারণে বাংলাদেশ সরকার নার্ভাস কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক রূপান্তরে আওয়ামী লীগ সরকারের ভূমিকায় সরকার আস্থাশীল। আমরা এই ভয়কে কাটিয়ে উঠব, আমরা এটিকে সুন্দরভাবে কাটিয়ে উঠব।”
ডঃ আহসান এইচ মনসুরও মনে করেন বর্তমান অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতাকে ‘সঙ্কট’ না বলে ‘সমস্যা’ বলা উচিত। সময়মতো সিদ্ধান্ত নিলে তা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব বলেও মনে করেন তিনি
প্রসঙ্গত, একটি দেশ চালাতে গেলে দরকার হয় একজন সুবিচক্ষণ ও সুদক্ষ প্রধানমন্ত্রীর আে সেইটা বাংলাদেশের আছে সুতরাং বাংলাদেশের মানুষের ভয়ের কিছুই নেই। প্রধানমন্ত্রী দেশ এতদিন যেভাবে সুন্দরভাবে পরিচালনা করে আসছে সামনেও আরো অনেক ভালোভাবে পরিচালনা করবে বলে বাংলার মানুষের প্রত্যাশা।