গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়া উপজেলায় এক স্কুলছাত্রীকে তার বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কর্তৃক কু-প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ঐ শিক্ষকের নাম গুরুদাস মিস্ত্রী। ঘটনার পর ঐ শিক্ষককে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে জানা গেছে। সেই সাথে ঐ শিক্ষককে ঐ বিদ্যালয় থেকে প্রত্যাহার করা হয়। জানা গেছে, অভিযুক্ত ঐ ব্যক্তি ২২ নং শৈলদহ মুশুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। গুরুদাস মিস্ত্রী কোটালীপাড়া উপজেলার রামশীল ইউনিয়ন এলাকার মুশুশিয়া নামক গ্রামের ভদ্রকান্ত মিস্ত্রীর ছেলে।
শনিবার তাকে বরখাস্ত ও প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা অরুণ কুমার ঢালী।
অভিযোগ উঠেছে, প্রধান শিক্ষক গুরুদাস মিস্ত্রি দীর্ঘদিন ধরে ওই বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে উত্ত্য’ক্ত করে আসছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় গত বৃহস্পতিবার শিক্ষক গুরুদাস ওই ছাত্রীকে ছুটির পরে বিদ্যালয়ে থাকতে বলেন। এরপর স্কুল ছুটি শেষে সবাই চলে গেলে তিনি ওই ছাত্রীকে কুপ্রস্তাব দেন। সেইসঙ্গে শ্লী’ল/তাহানির চেষ্টা করেন। তখন ওই ছাত্রী দৌড়ে বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি তার মাকে জানান। এরপর ঘটনার পরদিন শুক্রবার হওয়ায় শনিবার ওই ছাত্রীর মা এলাকার নারীদের নিয়ে বিদ্যালয়ে এসে শিক্ষক গুরুদাসকে লাইব্রেরিতে অবরু’দ্ধ করে রাখেন। খবর পেয়ে কোটালীপাড়া থা’/না পু’/লি’শ ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা অরুন কুমার ঢালী ঘটনাস্থলে ছুটে যান। তারা জনরোষ থেকে ওই শিক্ষককে উদ্ধার করেন।
শিক্ষা কর্মকর্তা অরুন কুমার ঢালী বলেন, ঘটনার সত্যতা পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ওই শিক্ষককে বরখাস্ত এবং ওই বিদ্যালয় থেকে প্রত্যাহার করেছি। এছাড়া ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ করে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঐ ছাত্রীর মা জানান, গুরুদাস মিস্ত্রি নামের ঐ শিক্ষক এর আগেও এমন ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছেন। আমরা ঐ শিক্ষকের শা’/স্তি দাবি করছি। অভিযুক্ত শিক্ষক গুরুদাস সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আমি এই ধরনের কিছু করিনি, এটা আমার বিরুদ্ধে ষড়য’ন্ত্র ছাড়া কিছু নয়।
মো. জাকারিয়া কোটালীপাড়া থা’/নার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি বলেন, এই ঘটনার কথা শোনার সাথে সাথে আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে যাই। এ ঘটনার পর আমরা সেখানে গিয়ে প্রাথমিকভাবে সত্যতা পেয়েছি। ঐ শিক্ষককে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করার পর প্রত্যাহার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে ছাত্রীর পরিবার এখনও পর্যন্ত কোনো অভিযোগ দা’য়ের করেনি। অভিযোগ পাওয়ার পর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।