প্রযুক্তি মানুষের জীবনের যেমন যাত্রার মান পরিবর্তন করে সবকিছু হাতের নাগালে এনে দিয়েছে ঠিক তেমনি অসুবিধাও বাড়িয়ে দিয়েছে। প্রযুক্তি যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক এক পরিবর্তন এনে দিয়েছে বর্তমান প্রজন্মকে। কিন্তু কিছু শ্রেনীর মানুষ এটির নেতিবাচক কাজে ব্যবহার করার কারনে সমাজ ব্যবস্থায় প্রভাব পড়ছে। আর এ কারন প্রায় বিভিন্ন ধরনের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে সাধারন মানুষকে। সামাজিক যোগাযোগ ফেসবুক ও ইমোর মাধ্যমে শতাধীক নারী সাথে সম্পর্ক করে যা করত এই যুবক।
ফেসবুক, ইমোতে একাধিক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে তিনি শতাধিক নারীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। ব্যক্তিগত সময়ে ভিডিও ও আপত্তিকর ছবি রেকর্ড করে ব্ল্যাকমেইল করে টাকা হাতিয়ে নিতেন। এমন অভিযোগে মো. নাদিম হাসান (২৩) নামের এক যুবককে গ্রেফতার করেছে মুন্সিগঞ্জ সদরের ডিবি পুলিশ।
শুক্রবার (২৯ জুলাই) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মুন্সীগঞ্জ সদরের পানাম আমতলী এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। নাদিম হাসান দালালপাড়া এলাকার মৃ/ত কাদির মিয়ার ছেলে। এ সময় তার কাছ থেকে নগদ ৪০ হাজার টাকা ও প/র্নোগ্রাফিতে ব্যবহৃত একটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।
মুন্সীগঞ্জ ডিবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ দেশের একটি অন্যতম সংবাদমাধ্যমকে বলেন, এক নারীর অভিযোগের ভিত্তিতে প/র্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মো. নাদিম হাসান নামে ওই যুবককে আটক করা হয়েছে। তিনি শতাধিক তরুণীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে পরে আপত্তিকর ছবি ভিডিও ধারণ করতেন। তাদের কাছ থেকেই ব্ল্যাকমেইলের মাধ্যমে অর্থ আদায় করে আসছিলেন তিনি। আটকের সময় নাদিমের কাছ থেকে নগদ ৪০ হাজার টাকা ও প/র্নোগ্রাফির কাজে ব্যবহৃত একটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। তার মোবাইলে অসংখ্য আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও পাওয়া গেছে।
তিনি আরও বলেন, বিচারক আবদুল্লাহ ইউসুফের কাছে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে শতাধিক মেয়ের সঙ্গে সম্পর্কের কথা স্বীকার করেন নাদিম। পরে তাকে আদালতে পাঠানো হয়। আসামিকে আদালতে সোপর্দ করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে অনেক নারী অর্থ হাতিয়ে নিয়ে সর্বশান্ত করে দিয়েছেন ওই যুবক। নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তাকের গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা যায়।