একজন শিক্ষকের সাথে একজন ছাত্র-ছাত্রীর পিতা ও ছেলে-মেয়ের সম্পর্ক হয়ে থাকে। তবে বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে গনমাধ্যমে একের পর এক ছাত্রীদের সাথে শিক্ষকের অপ্রত্যশিত অনেক কান্ডের কথা প্রকাশিত হয়েছে। সম্প্রতি বরিশালের এক শিক্ষার্থী তার থাতে ঘটে যাওয়া ঘটনা গনমাধ্যমে প্রকাশ করে বলেছেনে, আমি যাদি বিচার না পাই আমার আত্মহনন ছাড়া কোন পথ নেই।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, বরিশালের বাকেরগঞ্জে প্রধান শিক্ষকের শ্লী/লতাহানির শিকার এক স্কুলছাত্রী ( ছদ্ম নাম রিমা ) ন্যায় বিচারের আসায় শনিবার সন্ধ্যায় বোয়ালিয়া বাজারে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ হুমকি দেন।
ছাত্রটি বলল, একজন প্রধান শিক্ষক বাবার মতো; আমরা যদি তার কাছে নিরাপদ না থাকি তবে আমি কার কাছে নিরাপদ? আমার মর্যাদা চলে গেছে। এরপরও এ মামলায় বিচার না হলে আত্মহত্যা করা ছাড়া আমার আর কোনো উপায় নেই।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত তার মা অভিযোগ করেন, ঘটনার পর থানায় অভিযোগ দিলেও পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এ ঘটনায় আমরা উদ্বিগ্ন। পুলিশের আচরণ আমাদের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ। বিচার না পেলে পরিবার আত্মহত্যা করা ছাড়া উপায় দেখছি না।
সংবাদ সম্মেলনে তার বাবা বলেন, আমরা এখন কার কাছে যাব? কি করবো কিছুই বুঝতে পারছি না।
এ ঘটনায় বাকেরগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) সত্যরঞ্জন খাসকেল বলেন, বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছি। তদন্তে যা পাওয়া যাবে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এখানে কারো বিরুদ্ধে অন্যায়ভাবে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না।
অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক ইদ্রিসুর রহমান দাবি করেন, স্কুল কমিটির সঙ্গে বিরোধের জেরে একটি পক্ষ আমাকে অন্যায়ভাবে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।
প্রসঙ্গত, বরিশালের বাকেরগঞ্জ বোয়ালিয়া জেএম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইদ্রিসুর রহমানের বিরুদ্ধে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে শ্লী/ লতাহানির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার ক্লাস বর্জন করে বরিশাল পটুয়াখালী মহাসড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা। পরে পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপে তারা অবরোধ তুলে নেয়।
এ ঘটনায় ওই শিক্ষকের দৃষ্টান্ত শাশ্তির দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। তবে এখনো পর্যন্ত পুলিশ তাকে আটক করতে সক্ষম হয়নি। অভিযোগের তদন্ত চলমান উপযুক্ত প্রকাম পেলে তার বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ।