১৯৭১ সালে মহান যুদ্ধের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছে। এইও স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষ্যে পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও অগ্রনী ভূমিকা পালন করেছেন। সম্প্রতি এই নারীদের প্রসঙ্গ তুলে বেশ কিছু কথা জানালেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি মুক্তিযোদ্ধায় নারীদের ভূমিকা নিয়ে বর্তমান সরকার উদ্দেশ্যে সত্যিকার ইতিহাস তুলে ধরার আহ্বান জানিয়েছেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, মুক্তিযোদ্ধারা নয় মাস যুদ্ধ করেছি আর বী/রা/ঙ্গ/নারা ১৯৭১ সালেও যুদ্ধ করেছেন এরপরও করেছেন এবং এখন পর্যন্ত তা অব্যাহত আছে। মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের বীর উত্তম মেজর হায়দার মিলনায়তনে বী/রা/ঙ্গনা মুক্তিযোদ্ধা জয়গুন নাহার খনামকে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের দেওয়া সংবর্ধনা ও সম্মাননা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, আমরা বলি কয়েক লাখ মা-বোনের ই/জ্জ/ত, নি/র্যা/ত/নে/র বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। সেই লাখের জায়গায় মাত্র সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪১৬ জনে। এটা ন্যাক্কারজনক ইতিহাস। তাদেরকে সম্মান করতে না পারা অন্যায় বলে আমি মনে করি। তিনি বলেন, জয়গুনের কথাই ধরি, একটা ১০ বছরের মেয়েকে কয়েকমাস ধরে নি/র্যা/তি/ত হতে হয়েছে। সেখান থেকে বেরিয়ে এসে কথা বলছেন, তার চেয়ে বড় মুক্তিযোদ্ধা কে আছেন? তার প্রতি পাকিস্তানিরা যতটুকু অ/ত্যা/চা/র করেছে তার থেকে বেশি করেছি আমরা। রাষ্ট্র সঠিকভাবে তাদের সহযোগিতা করছে না।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি বলেন, শুধু অস্ত্র কিংবা কলম নিয়ে যু/দ্ধ করেই দেশ স্বাধীন হয়নি। আমরা যুদ্ধের সময় দেখেছি অনেকেই তাদের ঘরে আমাদের আশ্রয় দিয়েছে। অনেকের ঘরে খাবার ছিল না। তারা না খেয়ে আমাদের খেতে দিয়েছে। পরে যখন পাকিস্তানিরা এসে বলতো মুক্তি আসছিল? তখন তারা বলতো, না তো তারা আসেনি। তখন তারা (পাকিস্তানি) বুঝে ফেললে তাদের নি/র্যা/ত/ন করেছে। অনেক জায়গায় তাদের হত্যা করেছে। তাদের অবদান মুক্তিযুদ্ধের সময় অনেক বেশি ছিল। ‘অনেকে বী/রা/ঙ্গ/না অর্থ সঠিকভাবে জানেন না। বী/রা/ঙ্গ/না/কে খারাপভাবে ব্যবহার করেন। তাই আজকে আমরা মুজিবশতবর্ষ পালন করছি। তাই সরকারের উচিত বীরাঙ্গনাদের সত্যিকার ইতিহাস তুলে ধরা।’ বী/রা/ঙ্গ/না/দের সহযোগিতা করায় ‘নারীপক্ষ’র প্রশংসা করে তিনি বলেন, নারীপক্ষ নিজে উদ্যোগী হয়ে বিভিন্নজনকে সহযোগিতা করেছে। আমাদের উচিত বী/রা/ঙ্গ/নাদের নিয়ে গবেষণা করা এবং সঠিক তথ্য তুলে ধরা। আমাদের রাষ্ট্রকে অবশ্যই চাপ দেওয়া উচিত যে আমরা লাখো মা-বোনের হিসাব জানতে চাই। তাদেরকে আমরা জানতে চাই।
বাংলাদেশের অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি একজন চিকিৎসক এবং মুক্তিযোদ্ধা। তিনি তার ডাক্তারি ক্যারিয়ারে অর্জন করেছেন ব্যপক সফলতা এবং সম্মননা। এবং তিনি পেয়েছে দেশী-বিদেশী নানা পুরষ্কার। বর্তমান সময়ে তিনি রাজনীতিতে বেশ সক্রীয় রয়েছেন।