বীর উত্তম খেতাব প্রাপ্ত কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি আব্দুল কাদের সিদ্দিকী মাঝে মাঝেই আলোচনায় উঠে আসেন। তবে তিনি বর্তমান সময়ে আলোচনায় উঠে এসেছেন কিছুদিন আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে দেখা করার পর। তার এই দেখা করাকে অনেকে ভিন্নভাবে নিয়েছেন। অনেকে মনে করছেন, তিনি আ.লীগের সাথে একাট্টা হয়েছেন। তার এই বিষয়টি নিয়ে তিনি নিজেই কথা বলেছেন।
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি আব্দুল কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে সবকিছু চুরি। চোরের পার্লামেন্ট।’
কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘আমার মেয়ে কুঁড়ি সিদ্দিকী সখীপুর-বাসাইল থেকে নির্বাচনে দাঁড়িয়েছিল। ভোট গ্রহণে সময় লেগেছে দেড় দুই ঘণ্টা। ৭২ হাজার না কত ভোট যেন পাইছিল। ভালোই করেছে ঐ নির্বাচনে। যদি আমার মেয়ে নির্বাচিত হতো, তাকে পদত্যাগ করতে হতো। আল্লাহই পদত্যাগ করাই দিছে। নির্বাচনে সবকিছু চুরি, সেই চোরের পার্লামেন্টে আমার মেয়ে কেমনে কইরা যাইত। সেটা যাওয়া ঠিক হতো না।’
শনিবার বিকেলে টাঙ্গাইল শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে সখীপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র সানোয়ার হোসেন ওরফে সজিবের যোগদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
কাদের সিদ্দিকী বলেন, আমার দলের অনেকেই মনে করেন, আমার বোনের (শেখ হাসিনা) সঙ্গে একটু দেখা করার কারণেই মনে করছে আমাগো নেতা গেছে গা। নৌকা মার্কা হইয়া গেছে। অনেক আওয়ামী লীগ নেতারা মনে করছে আমাগো কাম হইছে। না কিছুই হয় নাই। আমি বঙ্গবন্ধুর ছিলাম, বঙ্গবন্ধুর আছি, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নিয়ে আমার সারা জীবন কাটিয়ে যাব, এখানে কোনো আপস নেই।
তিনি আরও বলেন, অনেকে মনে করেন আমি ধানের শীষ বেছে নিচ্ছি, আমি ধানের শীষে গেছি। আমি কখনো ধানের শীষে কোনো দিন যাই নাই।
এসময় উপস্থিত ছিলেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তালুকদার বীরপ্রতীক, জেলা শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুল হালিম সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম, সখীপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র সানোয়ার হোসেন প্রমুখ।
কাদের সিদ্দিকী ভিন্ন ধারার রাজনীতি করে থাকেন বলে অনেকে মনে করেন। কারণ তিনি তার বক্তব্যে সব সময় নিরপেক্ষ কথা বলে থাকেন। তিনি ভিন্ন দল করলেও বঙ্গবন্ধুর প্রশংসা করে থাকেন। যেটা নিয়ে অনেক সময় তিনি আলোচনার পাত্র হয়ে থাকেন।