বর্তমান নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ব্যাপক বিতর্ক রয়েছে। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে বর্তমান সরকার অধীনে কোন নির্বাচন সুষ্ঠ ও নিরেপক্ষ সম্ভব নয়। ক্ষমতাসীন সরকার ক্ষমতা স্থায়ী করতে ভোট ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে। এই সরকারের অধীনে আর কোন নির্বাচনে যাবে না বিএনপি। দলের নিয়মের বাহিরে যে কুমিল্লা সিটি নির্বাচন করায় দল হতে অব্যাহতি দেওয়া হয় মনিরুল হক সাক্কুকে। এবার কুমিল্লার সিটির আওয়ামীলীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী সম্পর্কে যা বলল সাবেক মেয়র সাক্কু।
কুকুমিল্লা নগরীর কান্দিরপাড়ে রূপায়ণ টাওয়ারের নকশা অনুমোদনে মনিরুল হক সাক্কু ৮০ লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছেন- স্থানীয় সংসদ সদস্য আ. ক. ম বাহাউদ্দিন বাহারের এমন মন্তব্য রীতিমতো ঘূর্ণি বয়ে দিয়েছে ভোটের মাঠে। তার এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনের স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী সাক্কু মঙ্গলবার পাল্টা আঘাত হানলেন। তিনি বলেছেন, ‘আমি শুনছি, নৌকা প্রতীক আনতে ৬০ কোটি টাকা ঘুষ দিছে। আমি এটা বিশ্বাস করি না। যাদের ভালো লাগছে তাদেরই দল মনোনয়ন দিয়েছে।
মঙ্গলবার নগরীর আদালতপাড়ায় প্রচারণা সফরে যান সাক্কু। এ সময় নৌকার প্রার্থী আরফানুল হক রিফাতের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘কারো বৈধ টাকা থাকলে চান্দের দেশে বাড়ি বানাতে পারেন। এতে কার কী আসে যায়। আমি কানাডার বেগমপাড়ায় বাড়ি বানাইনি। দেশের বাইরে থাকার কোনো ইচ্ছে নেই।
নগরীর কান্দিরপাড়ে রূপায়ন টাওয়ারের নকশা অনুমোদনে এমপি বাহারের ৮০ লাখ টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে সাক্কু বলেন, ‘এগুলো ভুল কথা। সব অপপ্রচার। ‘
তিনি আরও বলেন, ‘ভোটের দিন সুষ্ঠু ভোট নিয়ে শঙ্কায় তো আছি, আমার নেতাকর্মীরাও শঙ্কায় আছে। আশা করি, প্রশাসন সুষ্ঠু ভোটের পরিবেশ করবে।
একই দিন নৌকার প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত নেতাকর্মীদের নিয়ে নগরীর দক্ষিণ চর্থ, কাটাবিল ও মুরাদপুর এলাকায় প্রচারণা চালান। এ সময় তিনি বলেন, ‘সাক্কু কুসিকের উন্নয়নের নামে কোটি কোটি টাকা লুটপাট করেছে। আমি জিতলে সাক্কুর দুর্নীতি খুঁজে বের করব। নগরবাসীর প্রধান সমস্যা যানজট ও জলাবদ্ধতা। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এসব কাজ আগে শেষ করব। ‘
স্বতন্ত্র প্রার্থী নিজাম উদ্দিন কায়সার দিনভর নগরীর শ্রীবল্লভপুর, বড় দুর্গাপুর, শিমন্তপুর, উত্তর রামপুর, হীরাপুর, গোপীনাথপুর, মেস্তফাপুর, লক্ষ্মীপুর, কচুয়া ও দোয়ারা এলাকায় গণসংযোগ করেন। এ সময় তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের প্রতি আস্থা না থাকায় আমার দল (বিএনপি) নির্বাচনে আসেনি। বর্তমান নতুন নির্বাচন কমিশন শতভাগ সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। আশা করি নতুন কমিশনের কথায় মাঠপর্যায়ের কার্যক্রম ঠিকঠাক হবে।
প্রসঙ্গত, কুমিল্লা সিটি নির্বাচন নিয়ে পরস্পর বিরোধী মন্তব্য করছে। প্রচারনায় যেয়ে প্রার্থীরা তাদের কর্ম পরিকল্পনা জানাচ্ছে সিটির নাগরিকদের। তবে সবাই শঙ্কায় আছেন নির্বাচন সুষ্ঠ ও নিরেপক্ষ ভাবে অনুষ্ঠিত হবে কি না।