রাজধানীর ধামরাই উপজেলাধীন বালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন কয়েকদিন পরেই, কিন্তু এই নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে ভোট দিবেন না মো. আব্দুল আলীম যিনি ইউনিয়ন পর্যায়ের আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং বীর মুক্তিযো’দ্ধা। শুধু এই খানে তিনি থেমে থাকেননি, ইউনিয়নের যারা ভোটার তাদেরকেও তিনি নৌকায় ভোট দিতে মানা করেন। তবে তিনি বিএনপি কিংবা অন্য প্রার্থীদের হয়েও ভোট চাননি।
গতকাল (রবিবার) বিকেল ৫ টার দিকে বালিয়া ইউনিয়ন এলাকার পশ্চিম সূত্রাপুর নামক গ্রামে আহাম্মদ আলীর বাড়িতে মতবিনিময় সভা এবং সেখানে একটি উঠান বৈঠকে এই কথা বলেছেন। তার বক্তব্য দেওয়ার পর সেটি জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া ফে’সবুকে ভাইরাল হয়ে যায়। এ বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে ঐ এলাকায় আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযো’দ্ধা মো. আব্দুল আলীম তার বক্তব্যে বলেন, দুই মেয়াদে নির্বাচিত বালিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ধামরাই উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি আলহাজ্ব আহমদ হোসেন স’/ন্ত্রা’/সের রাজত্ব কা’য়েম করেছেন। তার চারদিকে স’/ন্ত্রা’/সী লোকজন। পুরো ইউনিয়নের মানুষ তার কাছে নি’/র্যা’/তি’ত ও নানাভাবে হ’য়রা/নির শি’/কা’/র।
স’/ন্ত্রা’/সী কর্মকাণ্ডের জন্য বালিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল গণি সুমনকে দল থেকে বহিষ্কার করি। আহমদ চেয়ারম্যান তাকে দলে রাখার জন্য চ’/রম বি’রো/ধিতা করেও বহিষ্কার থামাতে পারেনি। সে পুনরায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে ফের আব্দুল গণি সুমনরাই তার আশপাশে ঘিরে থাকবে। আবার জু’/লু’/ম নি’/র্যা’/তনের শি’/কা’র হবে ইউনিয়নবাসী। তাই দল থেকে যদি তাকে নৌকা প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয় তাহলে আমিতো নৌকা প্রতীকে আমার ভোট দেবই না, আপনারাও তার বিপক্ষের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে নৌকার প্রার্থীকে পরাজিত করবেন।
তিনি বলেন, বিগত দিনের নির্বাচনে আমরাই আপনাদের ভোট দিতে দেয়নি। তাই আপনারা ভোটকেন্দ্রে গিয়ে আপনাদের ভোট দিতে পারেননি। এবার আমরাই আপনাদের ভোটের গ্যারান্টি দিচ্ছি। আপনারা কেন্দ্রে যাবেন এবং আপনাদের পছন্দের প্রার্থীকে নিজের ভোট নিজেই দেবেন। শুধু দেবেন না নৌকা মার্কার প্রার্থীকে। ইউনিয়নবাসীকে বাঁচাতে দলমত নির্বিশেষে আমাদের সবাইকে একাট্টা হয়ে কাজ করতে হবে। না হলে ওই চেয়ারম্যানের স’/ন্ত্রা’/সী বা’হি/নীর অ’/ত্যা’/চার ও জু’/লু’ম-নি’/র্যা’/তন থেকে আমরা কেউ বাঁ’চব না।
আহমদ তার বিরু’দ্ধে যেসব অভিযোগ করা হয়েছে সেগুলো অস্বীকার করে বলেছেন, আমার কোনও শক্তি বা কোনো বা’/হি/নী নেই। আমি একজন সাধারণ মানুষ। আমি এই ইউনিয়নে যতগুলো গ্রাম রয়েছে তার প্রতিটিতে ব্যাপকভাবে উন্নয়ন করেছি। তাই তারা আমার উন্নয়ন সফলতা ঘটানোর বিষয়ে হিং’সা করছে এবং আমার বিরু’দ্ধে মিথ্যা কথা বলে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগ সভাপতি আমার ভাতিজা মো. মজিবর রহমানকে অত্র ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে রয়েছে, এবার তাকে ভিন্ন দিকে পরিচালনা করার মাধ্যমে তারা তাকে আমার বিরুদ্ধে প্রার্থী করার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এবং তার বিষয় নিয়ে মতবিনিময় ও উঠান বৈঠক করার মাধ্যমে আমাদের এলাকার জনগণকে বিভ্রা’ন্ত করছে।