নোয়াখালী-২ আসনের সোনাইমুড়ী উপজেলায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুবিধাভোগীদের নৌকায় ভোট দিতে বাধ্য করছেন এক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান। তিনি খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ৪৯২ জন সুবিধাভোগীর কার্ড জব্দ করেন। ভোট না দিলে কার্ড ফেরত দেবেন না বলে হুমকি দেন।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ওই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান ভূঁইয়া।
অভিযুক্ত আম্বরনগর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আক্তার হোসেন দুলু বিষয়টি স্বীকার করেছেন। “যেহেতু তারা (সুবিধাভোগী) সরকারের সুবিধা নেয়, তাই তাদের উচিত সরকারের ব্র্যান্ডেড নৌকায় ভোট দেওয়া,” তিনি বলেছিলেন। নৌকার প্রার্থীকে বিজয়ী করতে আমরা এমপি সাহেবের (মোরশেদ আলম) সঙ্গে বৈঠক করেছি। ওয়ার্ড ভিত্তিক আমরা কার্ড গ্রহীতাদের সাথে দেখা করব এবং যারা নৌকার প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তাদের কার্ড ফিরিয়ে দেব। এমপি সাহেব এসব জানেন।
তিনি আরও বলেন, “আমি নিজে সংশ্লিষ্ট সদস্যদের মাধ্যমে ৪৯২টি খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির কার্ড সংগ্রহ করেছি। সকল কার্ডধারীরা শেখ হাসিনার দেওয়া ১০ টাকা দরে ৩০ কেজি চাল পান। তারা গত সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বরে চাল পেয়েছেন। আগামী এপ্রিল মাসে তারা আবার এটা পেতে পারে.
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নোয়াখালী-২ (সেনবাগ-সোনাইমুড়ী আংশিক) সেনবাগের নয়টি ইউনিয়ন ছাড়াও পার্শ্ববর্তী সোনাইমুড়ী উপজেলার সেনবাগ, বজরা, আম্বরনগর, বারগাঁও ও নাটেশ্বর ইউনিয়ন এই আসনের অন্তর্ভুক্ত। এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোরশেদ আলম। এ ছাড়া স্বতন্ত্রসহ আরও সাত প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
হারুন অর রশিদ, আব্দুল করিম ও আবুল হাসেম জানান, কিছু সুবিধাভোগীর কার্ড বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সদস্যরা তাদের কাছে গিয়ে খাদ্য কর্মসূচির কার্ড চাইলে তারা বলেন চেয়ারম্যান নিতে বলেন, কার্ড জমা হবে। চাল না আসা পর্যন্ত চেয়ারম্যানের সাথে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘স্বতন্ত্র প্রার্থীর এমন কোনো অভিযোগ এখনো দেখিনি। তবে একজন চেয়ারম্যান এভাবে কোনো সরকারি সুবিধাভোগীর কার্ড জব্দ করতে পারবেন না। এ বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।