লক্ষ্মীপুর-৩ (সদর) আসনের উপ-নির্বাচনে ব্যালট বইয়ে নৌকা মার্কায় ক্রমাগত সিল মারার ঘটনায় সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আজাদ হোসেনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। শনিবার (১১ নভেম্বর) দুপুরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট চন্দ্রগঞ্জ আমলী আদালতের বিচারক বেলায়েত হোসেন তাকে জেলা কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
বিকেল সাড়ে চারটার দিকে আদালতের জিআরও মো. শরীফ উল্যাহ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, চন্দ্রগঞ্জ থানা পুলিশ ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে আজাদকে আদালতে সোপর্দ করেছে।
আদালতের বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
তবে এ বিষয়ে জেলা পুলিশ ও থানা পুলিশ কিছু জানায়নি। বক্তব্য জানতে চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তহিদুল ইসলামকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
এর আগে শুক্রবার (১০ নভেম্বর) চন্দ্রগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এম মাসুদুর রহমান মাসুদের বাড়ি থেকে আজাদকে তুলে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ ওঠে। তার বড় ভাই যুবলীগ নেতা আলমগীর হোসেন প্রথম থেকেই দাবি করে আসছিলেন, আজাদ পুলিশের কাছে ছিল।
আজাদ চন্দ্রগঞ্জ থানা ও দিঘলী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি মো. দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
সে সদর উপজেলার দিঘলী ইউনিয়নের দক্ষিণ খাগুরিয়া গ্রামের বাচ্চু মিয়ার ছেলে।
চন্দ্রগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এম মাসুদুর রহমান মাসুদ সাংবাদিকদের বলেন, “শুক্রবার ভোরে আজাদ আমাদের বাড়িতে আসে। পরে তাকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে যায়। আমি তখন বাড়িতে ছিলাম না।”
গত ৫ নভেম্বর লক্ষ্মীপুর-৩ (সদর) আসনের উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
এদিকে দিঘলী ইউনিয়নের দক্ষিণ খাগুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে নৌকা দিয়ে ব্যালট বইয়ে স্ট্যাম্প মেরেছেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আজাদ। এই ঘটনার ৫৭ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। এতে দেখা যায় আজাদ একাই ব্যালট বইয়ে নৌকা মার্কায় ৪৩টি সিল মেরেছেন। এ নিয়ে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হলে তোলপাড় শুরু হয়। এ ঘটনার জেরে আসনটির গেজেট প্রকাশ স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন।