নির্বাচনকে কেন্দ্র করে চলছে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে সহিংসতা সহ নানান বিতর্কিত কর্মকাণ্ড। কোথাও ভোট কারচুপি কোথাও ভোটারদেরকে বাঁধা প্রদান। সম্প্রতি সিলেটে সোনা কেন আরো ব্যতিক্রম খোপায় ভোট কারচুপির খবর। ছেলে মারা ভোট ব্যালট বাক্সে ভরে কেন্দ্রে কেন্দ্রে সাপ্লাই দেওয়া হচ্ছিল। শেষ হওয়ার ঠিক আগ মুহূর্তে ধরা পড়লেন ডিসি সাহেবের কাছে।
সিলেটের জকিগঞ্জের একটি ভোটকেন্দ্রের সামনে থেকে সিল দেয়া ব্যালেটসহ আটক করা হয়েছে দুই সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তাকে।
পুলিশ জানিয়েছে, তারা সিলমারা ব্যালট গাড়িতে করে নিয়ে কাজলসার ইউনিয়নের বিভিন্ন কেন্দ্রে পৌঁছে দিচ্ছিলেন।
ভোট শেষ হওয়ার ঠিক আগ মুহূর্তে সিলেটের জেলা প্রশাসক (ডিসি) এম কাজী এমদাদুল ইসলাম ও পুলিশ সুপার (এসপি) ফরিদ উদ্দিন ওই দুইজনকে আটক করেন।
এ ঘটনায় কাজলসার ইউনিয়নের ভোট স্থগিত করা হয়।
আটক দুজন হলেন আরিফুল হক ও সাদমান সাকিব।
এসপি বলেন, ‘জকিগঞ্জের ৯ ইউনিয়নে ভোট চলছিল। এর মধ্যে কাজলসার ইউনিয়নের ৪ কেন্দ্রে উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় থেকে ভোটার সংখ্যা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সংখ্যক ব্যালট পেপার পৌঁছানো হয়নি বলে অভিযোগ আসছিল।
‘বুধবার দুপুর পর্যন্ত ইউনিয়নের মরিচা ভোটকেন্দ্রে ব্যালট পেপারের অভাবে ভোটাররা ভোট দিতে না পারায় বিষয়টি গোয়েন্দা সংস্থার নজরে আসে।’
এসপি আরও বলেন, ‘এ সময় ইউনিয়নের দায়িত্বে থাকা রিটার্নিং কর্মকর্তা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরিফুল হকের সঙ্গে যোগযোগ করা হলে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের জানান, তিনি নিজে প্রয়োজনীয় ব্যালট পেপার কেন্দ্রে নিয়ে যাচ্ছেন।’
এরপর আরিফুল হক ও সাদমান সাকিব ব্যালট পেপার নিয়ে মরিচা ভোটকেন্দ্রে গেলে তার গাড়ি থেকে সিলমারা ৪০০ পেপার উদ্ধার করে পুলিশ। তাদের আটক করে থানায় নেয়া হয়।
এসপি জানান, ওই ব্যালটগুলোর মধ্যে নৌকা এবং দুই সদস্য প্রার্থীর প্রতীকে সিল মারা ছিল। আরিফুল ও সাদমান আরও কিছু কেন্দ্রে সিলমারা ব্যালট নিয়ে যান বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আটককৃত দুজনকে কি সাজা দেওয়া হবে সে ব্যাপারে যদিও এখন কিছু জানা যায়নি। তবে কেন্দ্রে সুষ্ঠু ভোট প্রদানে পুলিশ যে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে সেটা তাদের কর্মকান্ডই প্রমাণ করে দিয়েছে। তবে পরবর্তীতে ওই কেন্দ্রে কবে ভোট শুরু করা হবে বা কিভাবে পরবর্তী ভোট গ্রহণ করা হবে পুনরায় সে ব্যাপারে এখনও কিছু জানা যায়নি বা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়নি।