বর্তমান সময়ে ধারাবাহিকভাবে দেশের বিভিন্ন জেলায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। তাছাড়া বেশকিছু পৌরসভায় নির্বাচন হচ্ছে। এ নির্বাচনকে ঘিরে নানা ধরনের অপ্রীতিকর এবং অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটার খবর বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে আসছে। নির্বাচনে বিজয়ী করার জন্য প্রতিদ্বন্দ্বীরা বিপুল পরিমাণ অর্থ ছড়াচ্ছে এমন অভিযোগও বিভিন্ন গণমাধ্যমে উঠে আসছে। তবে নির্বাচন থেকে সুযোগ নেয়ার চেষ্টা করছে নির্বাচন সংশ্লিষ্টরা যারা টাকা নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীকে বিজয়ী করার চেষ্টা করছে এমন বিষয়টিও মাঝে মাঝে সামনে আসছে গনমাধ্যমের কল্যানে। এবার এক পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে এমন ধরনের একটি অভিযোগ উঠেছে। তবে তার এই পরিকল্পনা ফাঁস হওয়ায় শেষ রক্ষা হলো না।
ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলার তাঁরাবুনিয়া পুলিশ ক্যাম্পের এক কনস্টেবলকে ভান্ডারিয়ার ইকরী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চাঁদাবাজির অভিযোগে পি’/টুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে জনতা। গতকাল শনিবার (১ জানুয়ারি) রাতে ইকরী বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যকে ক্লোজড করে ঝালকাঠি পুলিশ লাইন্সে যুক্ত করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কাঁঠালিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুরাদ আলী। তিনি জানান, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা খতিয়ে দেখছেন।
জানা গেছে, ভান্ডারিয়া উপজেলার ইকরী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী হুমায়ুন কবির ইকরী বাজার এলাকায় নেতাকর্মীদের সঙ্গে প্রচারণার পরিকল্পনা করছিলেন। এ সময় পুলিশের কনস্টেবল মিখাইল আজম ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে নির্বাচনে তাকে বিজয়ী করে দেওয়ার প্রলোভন দেখান। বিনিময়ে টাকা দাবি করেন। বিষয়টি সন্দেহ হলে স্থানীয়রা তাকে আটক করে পিটু’/নি দেয়। এ সময় নৌকা প্রতীকের কর্মীরা বিষয়টি ভান্ডারিয়া থানায় জানালে সেখান থেকে পুলিশ সদস্যরা গিয়ে মা’/রধরের শিকার কনস্টেবল মিখাইল আজমকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান।
তাঁরাবুনিয়া পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বরত কর্মকর্তা এসআই মাহাবুবুল ইসলাম বলেন, কনস্টেবল মিখাইল আজম একটি মামলার সমন আদেশ নিয়ে উপজেলার বানাই গ্রামে বিবাদীর বাড়িতে যায়। তাকে বাড়িতে না পেয়ে পাশের ভান্ডারিয়ার ইকরী বাজারে গেলে সেখানে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে বলে জেনেছি। ভান্ডারিয়া থানা পুলিশের এসআই মাসুদ বিষয়টি আমাদের জানান।
মো. মঈনুল হক যিনি ঝালকাঠির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি জানান, পুলিশ কনস্টেবল মিখাইল আজমের ঘটনা শোনার পর আমরা তাৎক্ষনিক তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি। তার বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করে তাকে ফাঁড়ি থেকে বদলি করে পুলিশ লাইনসে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। ঘটনাটির বিষয়ে সত্যতা নিশ্চিত করতে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ যদি সত্য হয় তাহলে বিভাগীয় পর্যায় থেকে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।