ক্ষমতার জোরে অনেক মানুষ নানা ধরনের অপরাধ মূলক কর্মকান্ড করে থকে। তাদের অপরাধের কারনে ভুগতে হয় সাধারন মানুষের। সবার নিজেস্ব একটা অধিকার রয়েছে তবে জোর করে অনেক মানুষ অন্যের অধিকারকে ছিনেয়ে নেয়। এমনি একটা ঘটনা ঘটেছে চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলায় ।
ঘটনা সুত্রে জানা যায়, শুক্রবার ভোরে এক ব্যক্তির বাড়িতে হামলা চালিয়েছে স/ ন্ত্রাসীরা। নির্বাচনে ভোট না দেওয়ায় ছুরি, কুড়াল ও বেলচা দিয়ে বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ভিকটিম নারায়ণ নাথ। তবে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নারায়ণ নাথের বাড়ি কালিপুর ইউনিয়নের জঙ্গল গুনাগরী এলাকায়। ঘটনার প্রতিকার চেয়ে ওই এলাকার নাথপাড়ার ভুক্তভোগী নারী-পুরুষ বিকেলে উপজেলা সদরে গিয়ে মানববন্ধন করেন। তারা নিরাপত্তা দাবি করেন।
নারায়ণ নাথ মোটরসাইকেল মেরামত করেন। তার বড় ভাই সুবল নাথ রিকশা চালান। তারা পাশাপাশি বাস করে। জানা গেছে, গত বুধবার অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নাথপাড়ার সবাই নৌকা প্রতীকের পক্ষে ছিলেন। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী একই দলের বিদ্রোহী প্রার্থী শাহদাত আলম ৪১৮ ভোট পেয়েছেন। নোমানকে পরাজিত করেন। তৃতীয়জন আমিনুর রহমান চৌধুরী, বিএনপি নেতা এবং বাঁশখালীতে ১১ জনকে পু/ ড়িয়ে হ// ত্যা মামলার আসামি।
নারায়ণ নাথের অভিযোগ, পরাজিত প্রার্থীদের লোকজন বাড়িঘর ভাঙচুর করেছে। তিনি এক সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, সকাল ১০টার দিকে ১৪ থেকে ১৫ জন যুবক রামদা, বেলচা ও হাতে কুড়াল নিয়ে তাদের বাড়ির সামনে এসে দাঁড়ায়। তখন বৃষ্টি হচ্ছিল। তখন বাইরে থেকে বলছিল, কেউ বাড়ি থেকে বের হলে তাকে মে/ রে ফেলবে। এরপর ঘর ভাঙতে থাকে। ছু/ রি ও কু/ ড়াল দিয়ে টিন কাটা হয়। আর অকথ্য ভাষায় শপথ করে নির্বাচনে কেন নৌকায় ভোট দিলাম, তা জানতে চান তারা। পুরো পাড়া জ্বা/ লিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে হামলাকারীরা চলে যায়।
নারায়ণ নাথ আরও বলেন, তিনি বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসীকে চিনতেন। তিনি বলেন, তারা পরাজিত দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর অনুসারী। তাদের মধ্যে মাসুদ, আবু সালেহ ও তালেব ছিলেন। বাড়ি ভাঙার একটি ভিডিও যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। নারায়ণ নাথ গোপনে অন্য বাড়ি থেকে এই ভিডিও রেকর্ড করেন। ভিডিওর শেষের দিকে একজনকে তার দিকে ছুটে আসতে দেখা যায়। পরে ভিডিওটি বন্ধ হয়ে যায়। ভিডিওতে দেখা যায়, কু/ ড়াল ও রা/ মদা নিয়ে টিনের ঘরের টিন কাটছে পাঁচ যুবক। আধাঘণ্টা চলল ওরা। ঘর মাটির সাথে মিশে গেছে।
ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকায় ভোট দেয়ার পর পরাজিত দুই প্রার্থীর লোকজন তাদের ঘরে ঘরে ঢুকে পড়ে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।
এরপর পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। জানতে চাইলে বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. কামাল উদ্দিন জানান, আন্দোলনের পথ নিয়ে পাশের এক ব্যক্তির সঙ্গে নারায়ণ নাথের বিরোধ চলছিল। ওই সড়কেই টিনের ঘর ছিল বলে অভিযোগ অপর পক্ষের। এ কারণে ওই পক্ষের ভাড়াটিয়ারা এসে বাড়িটি ভেঙে দিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয় নয়। যারা ঘরে ঢুকেছে তাদের ভিডিও দেখে গ্রেফতার করা হবে।
এ বিষয়ে নারায়ণ নাথ প্রথম আলোকে বলেন, এখন জায়গা নিয়ে কোনো বিরোধ নেই। জমি নিয়ে তাদের সঙ্গে বিরোধ মিটে গেছে। তিনি বলেন, আমরা নির্বাচনে ভোট দিচ্ছিলাম বলে আমাদের বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। ঘটনার পর পুলিশ আসে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিবৃতি দিয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ড. নোমানের মোবাইল ফোনে কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
এই ঘটনা সম্পর্কে অবগত হইয়া অনেক পাঠক তাদের মন্তেব্যে লিখেছেন:-
>>নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় রয়েছে। সারাদেশে আওয়ামী লীগের জয়জয়কার। কিন্তু তারপরও নৌকার ভোটকে কেন্দ্র করে এ ধরনের সহিংসতা স্পষ্ট প্রমাণ করে ওই এলাকায় নৌকা বিরোধীরা কতটা শক্তিশালী, সহিংস ও অমানবিক। প্রশাসন কি করছে? অসহায় পরিবারের অবিলম্বে পুনর্বাসন ও নিরাপত্তা কেন নিশ্চিত করা হচ্ছে না?
>>নির্ভয়ে সত্য প্রকাশ করার জন্য প্রথম আলোকে ধন্যবাদ। এদেশে এমন নেতাদের অত্যাচারের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেখিনি। আমি বিশ্বাস করি না তাদের বিচার হবে। কারণ এই নেতাদের ক্ষমতা অনেক বেশি।
>>হামলার সময় তারা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে পুলিশকে খবর দেয়। কিন্তু ঘটনার পর পুলিশ আসে।
>>এখন আইডাকেও বিশ্বাস করতে হচ্ছে সরকারী দলের সমর্থকরা শিকার হচ্ছেন! দেশে আর যা-ই হোক না কেন, সরকারি দলের সমর্থকরা অত্যাচার নয় বরং নির্যাতনের শিকার!
>>মনু বাড়ি ছেড়ে চলে গেছে – আর তুমি কি করছ? আপনি ভিডিওটি বিশ্বাস করতে চান না মনু, আপনার শুরুটা ঠিক হয়নি।