ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিশ্বদরবারে আজ বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। দেশ ও জাতির উন্নয়নের পাশাপাশি আজ বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে কাজ করে যাচ্ছে এ সরকার। তবে এর পেছনে বাংলাদেশ নৌবাহিনী’র যে অবদান রয়েছে, তা কিন্তু ভোলার নয়। দেশে-বিদেশে বাংলাদেশের সামরিক এবং অর্থনৈতিক স্বার্থ সংরক্ষণে অনেক অবদান রেখে যাচ্ছেন তারা।
আর এবার প্রশিক্ষণ শেষে নতুন কমিশন লাভ করা নৌবাহিনীর অফিসারদের উদ্দেশে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘দেশের প্রয়োজনে তোমাদের সদা প্রস্তুত থাকতে হবে।’
সোমবার (২০ ডিসেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর মিডশিপম্যান-২০১৯ আলফা ও ডিরেক্ট এন্ট্রি অফিসার ২০২১ ব্রাভো ব্যাচের রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে সংযুক্ত হয়ে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘সততা, সঠিক নেতৃত্ব ও আত্মত্যাগের মন্ত্রে বলীয়ান হয়ে সেনা ও বিমানবাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দেশের প্রয়োজনে তোমাদের সদা প্রস্তুত থাকতে হবে। আমি আশা করবো, তোমাদের দেশপ্রেম, শৃঙ্খলাবোধ ও কর্তব্যনিষ্ঠা তোমাদের অধস্তনদেরও একইভাবে দেশের প্রয়োজনে আত্মনিবেদনে অনুপ্রাণিত করবে।’
প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আজ তোমাদের চমৎকার কুচকাওয়াজ উপভোগ করতে পেরে আমি অত্যন্ত মুগ্ধ। করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও বাংলাদেশ নেভাল একাডেমিতে চলমান প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ করে ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তোমরা তোমাদের অদম্য আগ্রহ, দৃঢ় মনোবল ও সাহসী মানসিকতার পরিচয় দিয়েছো। আমি আশা করি, চাকরি বা ব্যক্তিগত জীবনের যেকোনো সংকটে তোমরা এ ধরনের সুবিবেচনা ও নেতৃত্ব সুলভ গুণাবলীর পরিচয় দেবে।’
তিনি বলেন, ‘প্রশিক্ষণ শেষে আজ তোমরা ৪৪ জন প্রশিক্ষণার্থী বাংলাদেশ নৌবাহিনীর কমিশন্ড অফিসার হিসেবে কর্মজীবনে প্রবেশ করতে যাচ্ছো। কর্মজীবনে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বলীয়ান হয়ে দেশমাতৃকার সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা রক্ষার্থে তোমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাবে বলে আমার বিশ্বাস। তোমাদের মনে রাখতে হবে, যে কঠোর প্রশিক্ষণ তোমরা শেষ করলে তা তোমাদের উৎকর্ষ অর্জনের সূচনা মাত্র।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ নৌবাহিনী আজ শুধু দেশেই নয়, আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও অত্যন্ত সুশৃঙ্খল, দক্ষ ও পেশাদার বাহিনী হিসেবে মর্যাদা লাভ করেছে। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনসহ সব ক্ষেত্রে তাদের আত্মত্যাগ ও কর্তব্যনিষ্ঠা বাংলাদেশের জন্য বয়ে এনেছে বিরল সম্মান ও মর্যাদা, যা বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তিও অত্যন্ত উজ্জ্বল করেছে।’
তিনি বলেন, ‘করোনা মহামারির সময় বাংলাদেশ নৌবাহিনীসহ আমাদের সশস্ত্র বাহিনী অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। এজন্য আমি সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।’
গত ২০১৯ সালের শেষের দিকে সারা-বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে এ সংক্রমন। আর এর আঘাতে কুপকাত হয়ে বাংলাদেশও। সংক্রমনের ফলে কাজ হারিয়ে পথে বসতে হয় অনেককে। আর এ সময়ে সাধারণ মানুষের পাশে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় বাংলাদেশ নৌবাহিনী। তাদের সেই অবদানের কথা কখনো ভোলার নয়।