Saturday , November 23 2024
Breaking News
Home / Countrywide / নোয়াখালীতে তাসমিয়া হোসেন অদিতি প্রাণনাশ মামলায় আসামিদের পক্ষে কোনো আইনজীবী দাঁড়াবেন না

নোয়াখালীতে তাসমিয়া হোসেন অদিতি প্রাণনাশ মামলায় আসামিদের পক্ষে কোনো আইনজীবী দাঁড়াবেন না

একটা মানুষকে অন্য আরেকজন মানুষের ভালো লাগতেই পারে কিন্তু মূল বিষয়টি হলো শুধু একপক্ষের ভালোবাসা বা ভালোলাগা কোনোদিন দুটি মানুষকে এক করতে পারে না। মনের মিল নাও হতে পারে। সব সময় যে মনের মিল হবে এমনতো কোনো কথা নেই। ভালোবাসা জোড় করে পাওয়া যায় না। ভালোবাসা না পেলে ভালোবাসার মানুষটিকে প্রাণনাহস করতে হবে এটাঝলো অনেক বড় একটি অন্যায়ের কাজ। সম্প্রতি জানা গেছে প্রাণনাশ মামলায় আসামিদের পক্ষে কোনো আইনজীবী দাঁড়াবেন না বলে জানিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও জেলা জজ আদালতের আইনজীবী শিহাব উদ্দিন শাহীন।

নোয়াখালীর চাঞ্চল্যকর অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী তাসমিয়া হোসেন অদিতি (১৪) প্রাণাশের মামলার আসামিদের পক্ষে কোনো আইনজীবী দাঁড়াবেন না বলে জানিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও জেলা জজ আদালতের আইনজীবী শিহাব উদ্দিন শাহীন। শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জেলা শহরের লক্ষ্মীনারায়ণপুর এলাকায় প্রয়াত অদিতার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে শাহীন এ ঘোষণা দেন।

এদিকে শাহীন বলেন, আমাদের এলাকার মেধাবী ও প্রতিশ্রুতিশীল স্কুল ছাত্রী অদিতাকে অত্যন্ত সুপরিকল্পিত ও ঠান্ডা মাথায় খারাপ কাজের পর প্রাণনাশ করা হয়েছে। খুনের ঘটনা প্রায় উন্মোচিত। জেলা আইনজীবী সমিতির বর্তমান ও সাবেক সব নেতার সঙ্গে কথা বলেছি। নোয়াখালী জেলা জজ আদালতের কোনো আইনজীবী অদিতি প্রাণনাশ মামলার কোনো আসামির পক্ষে দাঁড়াবেন না। নোয়াখালী আইনজীবী সমিতির পক্ষ থেকে শিগগিরই আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসবে।

তিনি আরও বলেন, “আমি এবং আমাদের বারের প্রায় সকল সিনিয়র আইনজীবীরা অভিযুক্তের সর্বোচ্চ সাজা নিশ্চিত করতে আদালতে রাষ্ট্র/ভিক্টিমের পক্ষে লড়ব।” এই নৃশংস প্রাণনাশকাণ্ডের অপরাধীদের কোনোভাবেই রেহাই দেওয়া হবে না।

এদিকে অদিতি প্রাণনাশ মামলার প্রধান আসামি আব্দুর রহিম রনিকে ৩ দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নোয়াখালী আমলী নং-১ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ এমদাদ রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন। এর আগে বিকেলে রনিকে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে হাজির করে পুলিশ। রিমান্ড মঞ্জুরের পর আসামিকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। গৃহশিক্ষকের প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় অদিতিকে রনি প্রাণনাশ করেছে বলে পরিবারের অভিযোগ।

গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে জেলা পুলিশ সুপার মো. শহিদুল ইসলাম জানান, ঘটনার পরপরই তাকেসহ পুলিশের একাধিক সংস্থা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন চারজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এর সঙ্গে ছাত্রীর সাবেক গৃহশিক্ষক রনি জড়িত বলে প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া গেছে। ঘটনাকে ভিন্ন খাতে নিয়ে যাওয়ার জন্য ঘরের আলমারির জিনিসপত্র ভাঙচুর করা হয়। রনি পরিকল্পনা করে অদিতিকে প্রাণনাশ করেছে। যে ঘরে অদিতাকে প্রাণনাশ করা হয়েছিল, সেই ঘরে টয়লেটের জলের কল বন্ধ ছিল, টেলিভিশনের আওয়াজ উঠেছিল। প্রাণনশে ব্যবহৃত ছুরিটিও অদিতির রান্নাঘর থেকে নেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, কারো প্রাণনাশ করা হলো গুরুতরো একটি অপরাধ। একজন প্রাণনাশকারী সমাজ ও পরিবারের কাছে প্রচন্ড একজন ঘৃন্য ব্যক্তি হিসেবে পরিগণিত হয়। মানুষ ভবিষ্যতের তার কাজের কর্মফলের পরিণতির কথা বুজতে পারে, বুজতে পেরেও ঘটায় এমন অমানবিক কর্মকান্ড। আসল কথা হলো যতই যা করা হোক না কেনো দুটি মনের মুল না হলো সেখানে কোনো রকমের সম্পর্কের আশা করা যায় না।

About Shafique Hasan

Check Also

জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে প্রস্তুত আ.লীগ: বাহাউদ্দিন নাছিম

বাংলাদেশে জুলাই-আগস্ট মাসে ঘটে যাওয়া ছাত্র আন্দোলনের পর রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। ৫ আগস্ট …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *