নোবেল মানেই আলোচনা, নোবেল মানেই সমালোচনা।আর এই আলোচনা সমালোচনার একটি অংশ হিসেবে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছিল একটি ছবি।যেখানে ভারতের কোলকাতার নাটকের জনপ্রিয় অভিনেত্রী জবা অরফে পল্লবী শর্মা রয়েছে।হাসিমুখে দাঁড়িয়ে জবা। সঙ্গী নোবেল। একই মালা জড়ানো দুজনের গলায়। নোবেলের পরনে পাঞ্জাবি। জবা সেজে উঠেছে উজ্জ্বল কমলা রঙের শাড়িতে। কয়েক মাস আগে এই ছবি নেটপাড়ায় ছড়িয়ে যেতেই হইহই রব। কাউকে না জানিয়ে জবাকে বিয়ে করে ফেললেন নোবেল? করলেই বা কবে করলেন? এ ধরনের নানা প্রশ্নে ভরে গিয়েছিল পোস্টের মন্তব্য বাক্স।
আসলে এ সবটাই ঘটেছে মিম স্রষ্টাদের কল্পনায়। ‘সা রে গা মা পা’ খ্যাত নোবেলের পোস্ট করা একটি ছবিতে তাঁর মহিলা সঙ্গিনীর মুখের বদলে প্রযুক্তির মাধ্যমে বসিয়ে দেওয়া হয়েছিল জবার মুখ। জবা অর্থাৎ স্টার জলসার ‘কে আপন কে পর’ ধারাবাহিকের মুখ্য চরিত্র। আর সেই বিষয়টি নিয়েই মুখ খুলেছেন জবা ওরফে পল্লবী শর্মা।
আনন্দবাজারকে পল্লবী বলেন, ‘আমি আসলে একটু একা থাকতে ভালোবাসি। আমাকে নিয়ে যে এত ট্রোল হয় আমি জানতামই না। অন্যরা এসে আমাকে দেখায়। এই তো কবে দেখলাম আমার সঙ্গে নোবেলের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। এদিকে নোবেলকে আমি চিনিই না।’
তবে নোবেলের সাথে ছড়িয়ে পড়া এই ছবি নিয়ে তেমন বিরক্ত নন তিনি। তিনি একটাকে তেমন খারাপ চোখেও দেখছেন না। তিনি মনে করেন, ধারাবাহিক শেষ হওয়ার পরেও ‘জবা’ চরিত্রটির জনপ্রিয়তা কমেনি। তাই তাকে নিয়ে মানুষ এখনও চর্চা করে চলেছে। ধারাবাহিক শেষ হওয়ার পরেও মজার ট্রল-মিমের মাধ্যমেই অনুরাগীদের কাছে পৌঁছে যাচ্ছেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘ইদানীং ধারাবাহিকে নারী চরিত্র অনেক বেশি গুরুত্ব পায়। পর্দাজুড়ে তারাই থাকে বেশি। দর্শকের সঙ্গেও তাই একটা সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তাদের নিয়ে একটি হাসি-মজা চললে তো কোনো ক্ষতি নেই।’