স্যোশাল মিডিয়ায় প্রেম এরপর বিয়ে এভাবেই এগুতে থাকে ছাত্র আর শিক্ষিকার জীবন ধারা। আর এ নিয়ে একটা সময়ে হয়েছে বেশ আলোচনা। তবে সব আলোচনা সমালোচনাই যেন গেছে থেমে একটি কারনে। ভাইরাল সেই শিক্ষিকা আর নেই। প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা যাচ্ছে তিনি হয়তো নিজেই নিজেকে শেষ করে দিয়েছেন। কিন্তু এই ঘটনা ক্রমশ মোড় নিচ্ছে নতুন নতুন দিকে।
গত বছরের ১২ ডিসেম্বর তাদের বিয়ে হয়। রোববার সকালে নাটোর শহরের বল্লারীপাড়া মহল্লার ভাড়া বাসা থেকে খায়রুনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার পর তার স্বামী মামুনকে আটক করেছে পুলিশ। গ্রেফতারের পর মামুনের বক্তব্য বেমানান বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ ছাড়া ওই বাড়ির নৈশ প্রহরীর বক্তব্যের সঙ্গে তার বক্তব্যের অসঙ্গতি পাওয়া গেছে।
আ/ত্মহ//ত্যা/র/ কারণ সম্পর্কে মামুন পুলিশকে জানান, তার স্ত্রী খায়রুনের ছোট ছেলে তার বাবার (আগে খায়রুনের স্বামী) সঙ্গে থাকলেও বড় ছেলে তার নানির বাড়িতে থাকে। বিয়ের আগে খায়রুনের ব্যাংক ও এনজিও থেকে ১৫ লাখ টাকার বেশি ঋণ ছিল। সম্প্রতি বড় ছেলে খায়রুনের কাছে ছয় লাখ টাকার বেশি মূল্যের একটি মোটরসাইকেল দাবি করে। না কিনে দিলে ছেলেটি আ/ত্ম/হ/নন করবে বলে ভয় দেখায়।
এক প্রশ্নের জবাবে মামুন দাবি করেন, গত রাত তিনটা থেকে সাড়ে তিনটার মধ্যে মোটরসাইকেলে করে বাসায় আসেন। এরপর নামাজের জন্য মসজিদের দিকে রওয়ানা হন। যাওয়ার সময় খায়রুন ঘুমিয়ে ছিলেন। সকাল ৭টায় তাকে খুবজিপুর কলেজে নামিয়ে দেবে ভেবে নামাজ পড়ার আগে খায়রুনকে ফোন করে ফোন বন্ধ করে দেয়। এরপর নামাজ না পড়ে বাসায় এসে খায়রুনকে ফ্যানের সঙ্গে/ ওড়না দিয়ে ঝু/লতে দেখে/ন। তারপর পকেটে থাকা লাইটারের আগুন দিয়ে তার ওড়নায় আগুন ধরিয়ে তাকে নামিয়ে আনেন।
নামাজের জামাত কখন জানতে চাইলে মামুন বলেন একবার জামাত ৪টার পর, আবার সাড়ে ৫টায়।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে মামুন বলেন, তিনি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন মসজিদে নামাজ আদায় করেন।
এদিকে বিয়ের মাত্র ৭ মাসের মাথায় ঐ কলেজশিক্ষিকার মৃত্যুর ঘটনায় গোটা এলাকাজুড়ে বইছে বেশ শোরগোল। শিক্ষিকার স্বজনদের দাবি, তাকে পরিকল্পীত ভাবেই দুনিয়া থেকে সরিয়ে দিয়েছেন মামুন। এ সময়ে তারা মামুনের কঠোর শাস্তির দাবিও জানান।