দেশনেত্রী শেখ হাসিনা যখন দেশেকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে তখন বিএনপি ও তার দোশররা আবারও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করার জন্য। বিএনপি কখনো চায় না এদেশের উন্নয়ন হোক সে কারনে তারা আগষ্টের মতো নৃশংস ঘটনা ঘটিয়েছিল। তারা আবারও ক্ষমতার স্বশ্ন দেখছে কিন্তু এদেশের মানুষ আর তাদের ক্ষমতায় আসতে দিবে না কারন বিএনপির চরিত্র তাদের কাছে ফাঁস হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ। আন্দোলনের নামে নাশকতার চিন্তাভাবনা করছে বিএনপি বলে এ প্রসঙ্গে যা বললেন তিনি।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করতে আন্দোলনের নামে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগের কথা ভাবছে বিএনপি-জামায়াত। এদের প্রতিহত করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শ্রম ও জনশক্তি উপ-কমিটি আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
১৫ আগস্ট ও ২১ আগস্ট হ/’ত্যাকাণ্ড একই যোগসূত্রে গাঁথা উল্লেখ করে মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, সবকিছুর পেছনে একটি সূত্র রয়েছে। একই কায়দায় দুইটি গ/’ণহত্যা করা হয়েছে। দীর্ঘদিনে এ প্ল্যাট ফরম তৈরি করা হয়েছিল। নেপথ্যে থেকে এ হ/’ত্যাকাণ্ডে লিঁয়াজো করেছিল জিয়াউর রহমান।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারকে হ/ত্যা করা কিছু বিপথগামী সেনা সদস্যের পরিকল্পনা নয়। পাকিস্তান এবং দেশের বাইরে তাদের পশ্চিমা মিত্ররা এই হ/’ত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা করেছিল। এই প্ল্যাটফর্মটি অনেক আগে তৈরি হয়েছে। জিয়াউর রহমান পেছন থেকে এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিলেন।
বিএনপির শীর্ষ নেতাদের বক্তব্যের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি নেতারা মিথ্যাচারে লিপ্ত হয়েছে। পলাতক খু/নি তারিক রহমান বলেছেন, গ্রে/’নেড হামলার জন্য শেখ হাসিনা দায়ী। তার প্রশ্ন ছিল মুক্তাঙ্গনে আওয়ামী লীগের জনসভা, বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে কীভাবে গেলতারেক এসব কোথায় পেলো। খুনি, দুর্নীতিবাজ তারেকের মিথ্যাচার সবকিছুকে ছাড়িয়ে গেছে। এরা ২১ আগস্টের পেপার- পত্রিকা দেখেনি?
সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পানিসম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম বলেন, খু/নি মোশতাকরা ভেবেছিল বঙ্গবন্ধুকে হ/’ত্যা করতে পারলে মানুষের হৃদয় থেকে তার নাম মুছে ফেলতে পারবে। যে নেতার ডাকে ছাত্র, কৃষক-জনতা উজ্জীবিত হয়ে তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছিল সে নেতার নাম মানুষের হৃদয় থেকে কেউ মুছে ফেলতে পারবে না।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর বীর কন্যা শেখ হাসিনা তার মেধা ও যোগ্যতা দিয়ে সারা বিশ্বকে নেতৃত্ব দিতে পারেন। শেখ হাসিনা বেঁচে আছেন বলে মানুষ উন্নত বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছে।
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর হ/’ত্যাকাণ্ড ঐক্যের জাতিকে বহুধা বিভক্ত করা হয়েছে। শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তনের পর দেশ আলোয় এসেছে, অন্ধকার দূর হয়েছে। তিনি সাহসের ওপর ভর করে আমাদেরকে বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে মুক্ত করেছেন।
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মেজর জেনারেল (অব.) আবদুল হাফিজ মল্লিকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, শ্রম ও জনশক্তি প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান, আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (শিক্ষা) মাকসুদ কামাল, বীর মুক্তিযোদ্ধা এ.এম. শামসুল আরেফিন, বাংলাদেশ বিমানের চেয়ারম্যান মো. সাজ্জাদুল হাসান ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি লিয়াকত সিকদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, বিএনপি ক্ষমতার লোভে আবারও ধ্বংস মুখে ফেলতে চায় কিন্তু সেটির কোনো সুযোগ দেওয়া হবে জনগণকে নিয়ে প্রতিরোধ করা হবে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ। বিএনপি এদেশে আর ক্ষমতায় পারবে না দেশের মানুষ দতাদের আর চায় না।