সাম্প্রতিক সময়ে আ.লীগের অনেক নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, টাকার বিনিময়ে কমিটিতে মনোনয়ন দেওয়ার। অনেক সময় দলের রেজুলেশনের বাইরে গিয়েও কমিটিতে পদ দেওয়া হয়ে থাকে। তবে এবার বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি গঠনে আ.লীগ নেতার মনোনয়ন না মানার কারনে বিপাকে পড়েছেন এক শিক্ষক। এমনকি তাকে বিদ্যালয়ের টয়লেটে পালিয়ে থাকতে হয়। এমন অভিযোগ উঠেছে।
রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার কাটিদহ সৈয়দ করম আলী শাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে শ্লী”লতাহানি ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছনার অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে। এমনকি ‘হা”/মলা’ থেকে বাঁচতে টয়লেটে লুকিয়েছিলেন ঐ প্রধান শিক্ষক। সেখান থেকে তিনি ন্যাশনাল ইমার্জেন্সি সার্ভিস নম্বর ৯৯৯ এ কল করলে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় প্রধান শিক্ষক কোরবান আলী বাদী হয়ে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে আজ (৭ ফেব্রুয়ারি) পুঠিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
অভিযুক্ত জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আবদুস সামাদ মোল্লা এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনের সংসদ সদস্য ডা. মনসুর রহমান টাকার বিনিময়ে গোপনে নিয়মিত কমিটি করার উদ্যোগ নেন। এমনকি নিয়মের তোয়াক্কা না করে কোনো তফসিল ছাড়াই নিয়োগ বাণিজ্যের কমিটি করেন। .
এসময় প্রধান শিক্ষক মো. কোরবান আলী বলেন, “বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া রোগের প্রাদূর্ভাবের সময় থেকেই বিদ্যালয়টি আহ্বায়ক কমিটি দিয়ে চলছে। সোমবার সকালে হঠাৎ করে আওয়ামী লীগ নেতা আবদুস সামাদসহ স্থানীয় ১০-১৫ জন বিদ্যালয়ে আসেন। একটি লিখিত দলিল উপস্থাপন করে স্বাক্ষর করার জন্য চাপ দেন। আমি সই করতে না চাইলে সে প্রথমে আমাকে গা”লিগালাজ করতে থাকে।আব্দুস সামাদ মোল্লা আমার শার্টের কলার টেনে আমাকে শারীরিকভাবে লা”/ঞ্ছিত করে। একপর্যায়ে আমি প্রাণ বাঁচাতে স্কুলের টয়লেটে প্রবেশ করি। সেখান থেকে ন্যাশনাল ইমার্জেন্সি সার্ভিস নম্বর ৯৯৯এ কল করি। কিছুক্ষণ পর পুঠিয়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে আমাকে উদ্ধার করে।
রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনের সংসদ সদস্য ড. মোঃ মনসুর রহমান বলেছেন, আওয়ামী লীগ নেতার পছন্দ অনুযায়ী কমিটি দিতে হবে। তবে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলেন, নিয়ম মেনেই কমিটি গঠন করা হবে। এতে আব্দুস সামাদ ক্ষু”ব্ধ হন। প্রধান শিক্ষককে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এমনকি শারীরিকভাবে লাঞ্ছিতও করা হয়।
ফারুক হোসেন যিনি পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি ঘটনার বিষয়ে বলেন, “ন্যাশনাল ইমার্জেন্সি সার্ভিসে ঐ শিক্ষক ফোন করেছিলেন, এরপর সেখানে পুলিশের একটি গ্রুপ পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু পুলিশ সেখানে যাওয়ার পর কোনো ব্যক্তিকে পায়নি। থানায় এসে ঐ শিক্ষক একটি জিডি করেছেন। এ ঘটনার বিষয়ে আমরা তদন্ত শুরু করেছি।