টানা দুইবার বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের ষাধারন সম্পাদকের দ্বায়িত্ব পালন করে চলেছেন সড়ক যোগাযোগ ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।তবে তার দ্বায়িত্ব পালন নিয়ে কারো কোন তেমন অভিযোগ না থাকলেও বর্তমানে এই বিষয়টি নিয়ে বেশ আলোচনা উঠেছে মুলত আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলন ঘিরে সারাদেশে দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে আলোচনা-সমালোচনা বাড়ছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে অনুষ্ঠিতব্য সম্মেলনে নতুন গতিশীল নেতৃত্বের প্রত্যাশা করছেন নেতাকর্মীরা। কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে। বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের তৃতীয়বারের মতো থাকবেন, নাকি নতুন কেউ আসবেন, তা নিয়ে চলছে কর্মীদের মধ্যে আলোচনা।
এদিকে দলটির সাধারণ সম্পাদকের নির্দেশনা সত্ত্বেও যুবলীগ, ছাত্রলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগসহ মেয়াদোত্তীর্ণ কোনো সংগঠনই সম্মেলন নিয়ে উৎসাহ দেখাচ্ছে না। বরং কিছু সহযোগী সংগঠনের নেতারা বিরক্ত
সম্মেলন সম্পর্কে প্রকাশ ড. কেউ কেউ বলছেন, রাষ্ট্রপতি নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সম্মেলনে যাবেন না। সমবায় সংগঠনের এসব কর্মকাণ্ডে বিস্মিত হলেও কেউ কিছু বলছে না। বরং পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন সংশ্লিষ্ট নেতারা। অনেক অধিভুক্ত সংস্থা এমনকি কেন্দ্রের আগে একটি সম্মেলন করতে নারাজ।
বর্তমান কমিটির মেয়াদ শেষ হবে ২০ ডিসেম্বর। অর্থাৎ এই সময়ের মধ্যেই দলের জাতীয় সম্মেলন হওয়ার কথা। ডিসেম্বরে এই সম্মেলন আয়োজনের কথা বলেছেন দলের সভাপতি শেখ হাসিনা। তবে চূড়ান্ত তারিখ এখনো ঠিক হয়নি। জানা গেছে, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সম্মেলনের নীরব প্রস্তুতি চলছে। এবারের জাতীয় সম্মেলনে আবার থাকবেন কি না, সে বিষয়ে মুখ খোলেননি বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। কে হচ্ছেন পরবর্তী সাধারণ সম্পাদক, তা নিয়ে নেতা-কর্মীদের মধ্যে এখন আলোচনা তুঙ্গে। যেসব নেতা-কর্মীদের নাম সবচেয়ে বেশি আলোচনায় আসছে তারা হলেন- দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, ডা. আব্দুর রাজ্জাক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি, ডা. হাছান মাহমুদ, বাহাউদ্দিন নাছিম ও সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম। আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে মন্ত্রিত্ব নেই এমন নেতারাই এখন দলের সাংগঠনিক কাজে সবচেয়ে বেশি সক্রিয়। কর্মীদের সর্বোচ্চ সময় দিয়ে এবং সারাদেশে সম্মেলনে যোগ দিয়ে তারা নিজেদের আলোচনায় রাখেন। বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে আগামী সম্মেলন আওয়ামী লীগের রাজনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, বহু ঐতিহাসিক ঐতিহ্যের সাক্ষী এই দলের জন্য ২০২৪ সালের নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, ২০২৩ সালে অনেক কিছুর মুখোমুখি হতে হবে। শ্রমিকশ্রেণীর জনপ্রিয় দলগুলোর জন্য সময় দিতে পারেন এমন নেতাদের নেতৃত্বে আনা উচিত বলে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের অভিমত। বর্তমানে যাঁরা কর্মীদের সঙ্গে সম্পৃক্ত নন এবং কোনো ধরনের সাংগঠনিক দক্ষতা দেখাতে পারছেন না তাঁদের গুরুত্বপূর্ণ পদে আনা উচিত নয় বলে মনে করেন অনেকে।
সংশ্লিষ্টদের মতে, সম্মেলনের সবকিছু নির্ভর করছে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ওপর। তার একক জনপ্রিয়তার কারণে বর্তমানে আওয়ামী লীগ শক্ত অবস্থানে রয়েছে। টানা তিনবার রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকার রেকর্ড গড়েছে দলটি। চতুর্থ মেয়াদে আওয়ামী লীগের সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। আন্তর্জাতিক ও দেশীয় চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনতে গতিশীল নেতৃত্বের বিকল্প নেই। যে কারণে অভিজ্ঞ, রাজনৈতিক অভিজ্ঞ নেতাদের নিয়ে কর্মীদের মধ্যে আগ্রহ দেখা দিয়েছে।
দির্ঘদিন ধরে ক্ষমতায় রয়েছে বর্তমান ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগ টানা তৃতীয়বারের মত ক্ষমতার আসনে তারা, এরই মধ্যে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন জানা গেছে দলের জাতীয় সম্মেলনের পর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ কারণে দলের তৃণমূল পর্যায়ে গ্রহণযোগ্য নেতাই সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হবেন বলে মনে করেন নেতাকর্মীরা।