সাম্প্রতিক সময়ে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ এর বেশ কয়েকজন নেতা কা”রাবন্দি রয়েছেন। এরা বিভিন্ন ধরনের মামলায় গ্রেফতার হয় কারাগারে অন্তরীণ রয়েছে বিভিন্ন সময়ে সরকারকে নিয়ে বাজে মন্তব্য এবং বিব্রতকর পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। এদিকে ফেফাজত নেতারা তাদেরকে মুক্ত করার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
কারাব”ন্দি নেতাদের মুক্তি চেয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। চিঠিতে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে যে সরকার “বিব্রত” হবে না এমন কোনো পরিস্থিতি তারা সৃষ্টি করবে না। মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানকে এমন প্রতিশ্রুতি দিয়ে চিঠি দেওয়া হয় বলে জানা গেছে।
এদিকে হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব মাওলানা সাজিদুর রহমানের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল গতকাল বিকেলে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সঙ্গে দেখা করেন। এসময় নায়েবে আমীর মাওলানা মুহাম্মদ ইয়াহিয়া ও ফোরকান উল্লাহ খলিল, সাংগঠনিক সম্পাদক মীর ইদ্রিস, ঢাকা মহানগর সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম সোবহানী ও সাধারণ সম্পাদক কেফায়েত উল্লাহ আজহারী উপস্থিত ছিলেন।
এক ঘণ্টার বৈঠক শেষে সাজিদুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, কা’রাব”ন্দি আলেমদের মুক্তিসহ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে পাঁচটি দাবি জানিয়েছেন তারা।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে দেওয়া চিঠিতে বলা হয়েছে, আলেম-ওলামারা এক বছরেরও বেশি সময় ধরে ব”ন্দী থাকায় তাদের পরিবার এবং তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন মসজিদ ও মাদ্রাসার অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। কা’রাব”ন্দী আলেমদের অনেকেই গুরুতর অসুস্থতায় ভুগছেন। কয়েকজনকে হুইলচেয়ারে করে আদালতে হাজির করা হচ্ছে।
চিঠিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, আমরা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি যে, তারা জামিন-পরবর্তী কোনো কর্মকাণ্ডে জড়িত হবে না যা রাষ্ট্র ও সরকারের জন্য বিব্রতকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করবে।
হেফাজত ইসলাম এর এ পর্যন্ত বহুসংখ্যক নেতা কারাগারে অন্তরীণ রয়েছেন। তবে অনেকের বিচার প্রক্রিয়া এখনো সম্পন্ন না হওয়ায়, তারা জেলে রয়েছেন। তবে হেফাজত ইসলামের প্রতিশ্রুতি মোতাবেক বিশেষ বিবেচনায় ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নিতে পারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়, এমনটি আশাবাদ জনিয়েছেন দলটির নেতারা।