চট্টগ্রামে বিএনপি-জামায়াতের ডাকা ৪৮ ঘণ্টার অবরোধের তৃতীয় পর্বের প্রথম দিনে নেতাকর্মীদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না, অভিভাবকদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে দলটি।
এদিকে মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে বুধবার (৮ নভেম্বর) সন্ধ্যা পর্যন্ত ১৫ ঘণ্টায় ১৫ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে বিএনপি। চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি কার্যালয়ের দায়িত্বে থাকা ইদ্রিস আলী জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, সরকারের পতন ও একতরফা দাবির প্রতিবাদে তৃতীয় দফা অবরোধের প্রথম দিনে চট্টগ্রামের বিএনপি নেতাকর্মীরা নগর ও জেলার বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ মিছিল ও পিকেটিং সমাবেশ করেছে। বিএনপির মহাসচিব ও স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে গ্রেফতার করেছে।
অবরোধের ঘটনায় আরও ১৫ বিএনপি নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। নেতাকর্মীদের বাড়িতে গিয়ে গ্রেপ্তার করতে না পেরে পরিবারের অন্য সদস্যদের নিয়ে যাচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
ইদ্রিস আলী বলেন, বাড়িতে টার্গেটকৃত ব্যক্তিকে খুঁজে না পেয়ে তাদের বাবা, ভাই বা অন্য সদস্যদের অন্যায়ভাবে আটক করা হচ্ছে। পতেঙ্গা থানা পুলিশ মঙ্গলবার রাতে ভোলার ছোট ভাই বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. শফিউল আলমকে বাড়ি থেকে অপহরণ করা হয়। পতেঙ্গা থানা যুবদল নেতা শাহীনকে খুঁজে না পেয়ে তার ভাই আলী নূরকে আটক করেছে পুলিশ।
আমিন শিল্পাঞ্চল সাংগঠনিক ওয়ার্ড যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সুমন তার বৃদ্ধ বাবাকে খুঁজে পায়নি। বায়েজিদ বোস্তামী বাংলাবাজারের দোকান থেকে কবিরকে আটক করে কারাগারে পাঠানো হয়।
তিনি বলেন, অবরোধকালে বুধবার বিকেলে চকবাজার থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক খায়রুজ্জামান জুনুকে আটক করে পুলিশ। বুধবার সকালে কোতয়ালী থানার পাথরঘাটা ওয়ার্ড বিএনপি নেতা মো. আলতাফ হোসেন ও পাথরঘাটা ওয়ার্ড যুবদল নেতা মো. আরিফ ও মো: সাগরকে আটক করেছে কোতোয়ালি থানা পুলিশ।
ওই রাতেই চান্দগাঁও থানা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মহব্বত হোসেন, পাঁচলাইশ থানা যুবদলের নেতা মোহাম্মদ রেজাউল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা সাকিব ফয়সাল মীমকে আটক করা হয়।